আগামী বছরের মধ্যে উপ–রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন তৈরি হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে দুই বা,ভবন, কমন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট এবং স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের বিল্ডিং তৈরিরও ছাড়পত্র দিয়েছে। সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কসের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন সংসদীয় ভবন সম্প্রসারণের কাজ ২০২২ সালের নভেম্বরের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হচ্ছে।বলা হয়েছে, উপ–রাষ্ট্রপতির জন্য যে নতুন বাসভবন তৈরি হবে, সেটি ২০২২ সালের মে মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলা হবে।পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন ও সেই সঙ্গে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের বিল্ডিংটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলা হবে।ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে অনুমোদন পাওয়া হয়ে গিয়েছে ।সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কসের হিসাব অনুযায়ী, এই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে খরচ হবে ১৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ভিসটা প্রকল্প অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনটি সাউথ ব্লকের পিছনে স্থানান্তরিত হবে।পাশাপাশি উপ–রাষ্ট্রপতির বাসভবনটি নর্থ ব্লকের পিছনে স্থানান্তরিত হবে।২০২২ সালের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যাতে নতুন সংসদীয় ভবনটিকে খুলে দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।তবে এই প্রকল্পের মধ্যে আরও ১১টি প্রশাসনিক ভবন তৈরি হবে যেটি ২০২৪ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে।তবে যেভাবে সরকার করোনার সংকটজনক পরিস্থিতিতে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কিছুদিন আগেই টুইট করে জানিয়েছিলেন, দেশে এখন ভিস্তা প্রকল্পের থেকেও জরুরি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশকে সঠিক দিশা দেওয়া।