রাজনীতিতে শাসক-বিরোধীর মধ্যে আকচাআকচি লেগেই থাকে। কিন্তু তার বাইরে ব্যক্তি জীবনে অনেকেই একে অপরের বন্ধু, পরম শুভাকাঙ্খ🍨ী। কিন্তু হাল আমলে ক্রমশই বাড়ছে কটু কথা, ব্যক্তিগত আক্রমণ। তার মধ্যেই এদিন ব্যতিক্রমী চিত্র দেখল রাজ্যসভা। বিদায়ী সাংসদদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বন্ধু তথা বিরোধী দলনেতা গুলাব নবি আজাদের প্রসঙ্গে আবেগে ভাসলেন মোদী। দেশবাসীকে জানালেন তাদের বন্ধুত্বের কাহিনি, সেটা এযাবৎ ছিল অজানা।
নিজের গুজরাতের দিনের স্মৃতিচারণা করেন মোদী। তিনি বলেন যে জম🐈্মু-কাশ্মীরে যখন সন্ত্রাসবাদী হানা হয়, অনেক গুজরাতি একটি ধর্মীয় স্থানে আটকে গিয়েছিলেন। তখন আজাদ তাঁকে ফোন করেন বলে জানান মোদী। চোখে জল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আজাদ তাদের এমন ভাবে দেখভাল করেছিলেন যেন তাঁরা কংগ্রেস নেতার পরিবারের সদস্য।
একই সঙ্গে বিভিন্ন সময় তারা যে একে অপরের সঙ্গে হাসি-মস্করা করতেন সংসদে ব꧅সে, সেই কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ভোটের রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে থেকেই গুলাম নবি আজাদে🍰র সঙ্গে তাঁর পরিচয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পুরনো কথা মনে করে মোদী বলেন যে আজাদ তখন সাংবাদিকদের বলতেন যে টিভি বিতর্কে হয়তো ঝগড়া হয় কিন্তু আসলে তাঁরা পরিবারের মতো।
বন্ধু আজাদের জন্য তাঁর দরজা সর্বদা খোলা থাকবে বলে তিনি জানান। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা থেকে অবসর নিচ্ছেন কাশ্মীরের এই নেতা। তিনি আর রাজ্যসভায় ফিরবেন না বলে সোমবার জানিয়ে দেন তিনি। গতকাল নিজের ভাষণে আজাদের প্রশংসা করলেও তিনি যে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে একজন, কৌশলে সেই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মোদী বলেন যে আজাদের স্থান যেই নিক, তাঁকে অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে শূণ্যস্থান পূরণ করার জন্য। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন যে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে রাজ্যসভার সদস্য গুলা🌌ম নবি আজাদ। তাঁর অবদান উচ্চকক্ষকে নিশ্চিত ভাবেই আরও ধনী করেছে বলে প্রশংসা করেন নাইডু। আজাদ সবসময় ভারসাম্যের কণ্ঠ ছিলেন বলেই অভিমত ব্যক্ত করেন উপরাষ্ট্রপতি।