করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই রাজ্যগুলিকে বুধবার চিঠি পাঠায় কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্বের ৮টি রাজ্য সহ মো🅘ট ১৫টি রাজ্যকে কেন্দ্র নির্দেশ দেয়, করোনা আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামাতে হবে। এই আবহে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকে মূলত মন্ত্রকগুলির রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠকে প্রাধান্য পায় করোনা ভাইরাস। মন্ত্রীদের মোদী নির্দ♌েশ দেন যাতে তাঁরা সাধারণ মানুষকে টিকাকরণের জন্য এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরিত করেন।
জানা গিয়েছে বুধবার পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল। তিনি করোনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করেন। এরপর টিকাকরণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে নির্দেশ দেন মোদী। পাশাপাশি সব মন্ত্রীদেജর বলেন মানুষকে বুঝিয়ে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে টিকাই যে এখমাত্র হাতিয়ার, তা যেন মানুষকে বোঝানো হয়।তাছাড়া করোনা-পরবর্তী সময়ে কীভাবে সঙ্কট দূর করে দেশের অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে মন্ত্রীদের কাছে তাঁদের ভাবনা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি যে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বা ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে, সেই প্রকল্পগুলি যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীদের উপর।
এদিকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৫ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। রাজ🥂েশ ভূষণ চিঠিতে দাবি করেছেন যে গত ২১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ-সহ এই রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজ্যগুলিকে আরটি-পিসিআর টেস্ট বৃদ্ধিতে নজর দিতে বলেছেন। পাশাপাশি করোনা পজিটিভিটির হার ১০ শতাংশের নিচে নামাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।