খলিস্তানি ইস্যুতে সংঘাতের মধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে আপাতত ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে কিছুটা যেন ‘শীতল’ ছিল তাঁদের সাক্ষাৎ-পর্ব। ইতালিতে জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো অনেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলেন মোদী। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন। কিন্তু ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হওয়া নিয়ে যে পোস্ট করেন, সেটাই সবথেকে ‘শীতল’ ছিল। বাকি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত রসায়ন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন। কিন্তু ট্রুডোর ক্ষেত্রে মোদী শুধু লেখেন, ‘জি৭ সম্মেলনে কানাডার প্র✤ধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হল।’
খলিস্তানি ইস্যুতে ভারত-কানাডা সংঘাত
খলিস্তানি ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত এবং কানাডার মধ্যে সংঘাত চলছে। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে সেই সংঘাতের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। সেইসময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টের যোগ থাকতে পারে। কোনও প্রমাণ না দিয়েই নিজেদের দেশে ভোটের আগে সেই মন্তব্য করেছিলেন ট্রুডো। যে ꧋অভিযোগ প্রথম থেকেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বরং নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে যে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কানাডায় খলিস্তানিপন্থীদের মদত জোগানো হচ্ছে।
বাইডেনের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ
ট্রুডোর সঙ্গে সেই 'শীতল' সাক্ষাতের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা হয়েছে মোদীর। বাইডেনের সঙ্গে মোদীকে একেবারে চেনা ভঙ্গিমায় দেখা গিয়েছে। হাসিমুখে হাত ধরে, আলিঙ্গন করার ছবি পোস্ট লেখে মোদী লেখেন, 'মার্কিন প্রেসিডেনও্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টা সবসময়ই আনন্দের। বিশ্বের যাতে ভালো হয়, সেজন্য একইসঙ্গে কাজ করে যাবে ভারত এবং আমেরিকা।'
তবে তাঁদের মধ্যেও কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে আপাতত ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কিছু জানানো হয়ন🥀ি। প্রাথমিকভাবে একটি মহলের তরফে আশা করা হচ্ছিল যে জি৭ সম্মেলনের মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন মোদী এবং বাইডেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা হয়নি।
যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে দাবি কর𒁃া হয়, আমেরিকার প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন যে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ছাড়া কোনও রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন না বাইডেন। কারণ এরকম সফরের ক্ষেত্রে অনেক রাষ্ট্রনেতা আসেন। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য হাতে🐷 খুব কম সময় থাকে।