আগামী ১৩ জানুয়ারি 'গঙ্গা বিলাস ক্রুজ'-এর ফ্ল্যাগ অফ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই সেই অনুষ্ঠানꦆের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পিটিআই-কে এমনটাই জানিয়েছে সেখানকার জেলা কর্তৃপক্ষ।
উত্ত꧃রপ্রদেশের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের এক টুইটে জানানো হয়েছে যে, 'আগামী ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে বাংলাদেশ হয়ে অসমের ডিব্রুগড় পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ সফরের ফ্ল্যাগ অফ করবেন।' বারাণসী থেকে ছাড়ার পর এই ক্রুজ গাজিপুর, বক্সার এবং পাটনা হয়ে কল♛কাতায় পৌঁছে যাবে।
এর পর সেখান থেকে ক্রুজটি বাংলাদেশের নদী এলাকায় প্রবেশ করবে। সেখানে প্রায় ১৫ দিন ধরে চলবে। এরপর গুয়াহাটি হয়ে ভারতের নদী এলাকায় ফিরে আসবে। সবশেষে ডিব্রুগড়ে গিয়ে থামবে। গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র দিয়ে যাবে এই ক্রুজ। মোট রুটের প্রায় ১,১০০ কিলোমিটার যাবে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে। আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ভয়ের ১০ পথ! ভারতের এই রাস্তায় গไাড়ি চালাতে অতি সাহসীরও হাত কাঁপে
বারণসী থেকে আসা এই ক্রুজ ফারাক্কা, মুর্শিদাবাদ হয়ে কালনা, নামখানা, সজনেখালি পার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সেখানে মরেলগঞ্জ, মেঘনা ঘাট, সোনারগাঁও দিয়ে উত্তরমুখী হয়ে হয়ে চিলমারি পার করౠে ফের ভারতে প্রবেশ করবে। ধুবরি, পেরি অসমের গুয়াহাটি যাবে এই ক্রুজ। এরপর উত্তর-পূর্ব দিকে💞 শিলঘাট, বিশ্বনাথ হয়ে ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাবে।
বারাণসীর রবিদাস ঘাটের বিপরীতের জেটি বোর্ডিং পয়েন্ট থেকে ক্রুজের ফ্ল্যাগ অফ করা হবে। সরকারি সূত্রে খবর, গঙ্গা বিলাস ক্ꦦরুজটি মোট ৩,২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে।
বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ ট্যুর বলে এর প্রচার করা হচ্ছে। বারাণসী থেকে ডিব্রুগড় যেতে মোট ৫০ দিন সময় লাগবে। যাত্রা পথে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে থামতে থামতে যাবে। সবমিলিয়ে ৫০টিরও বেশি স্থানে থামবে। তার মধ্যে যেমন ঐতিহ্যবাহী নানা স্থান রয়েছে, তেমনই জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়েও যাবে। সুন্দরবন ডেল্টা এবং কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে ক্রুজ যাত্রা অভিজ্ঞতা যে দুর্দান্ত হবে, তা বলাই বাহুল্য। আরও পড়ুন: পাহাড়ে সম𓃲য় কাটাতে চান? দেশের মধ্যে এই জায়গাগুলি যেতে পারেন
তবে তার মানে এই🌳 নয় যে একবার উঠলে টানা ৫০ দিনই যাত্রা করবেন। এর নির্দিষ্ট দিন, সেকশন হিসাবেও কেউ পাড়ি দিতে পারেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নৌ পরিবহণ ও নৌপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল জানান, ক্রুজ পরিষেবা ছাড়াও উপকূল এবং নদীতে নৌ চলাচলের উন্নয়নকে অগ্রাধিকারের দেওয়া হবে। এই বিষয়ে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র প্রায় ১০০টি জাতীয় জলপথౠের উন্নয়নের কাজ হাতে নিয়েছে। আগামিদিনে এই জলপথগুলিতে বিশ্বমানের ক্রুজ চালানোর লক্ষ্য রয়েছে।