সংবিধা♚ন অনুসারে তিনি যে কর্তব্য পালন করার দায়িꩵত্ব পেয়েছেন, তা পালন করতে গিয়ে সর্বদাই সংবিধান নির্দিষ্ট গণ্ডীর আওতায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এমনটাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার, ৭৫তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এ൩ক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই উপ💙রোক্ত মন্তব্যটি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মোদীর এই মন্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ಞমহলের ব্যাখ্যা হল - আপাতভাবে অরাজনৈতিক একটি ম🉐ঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী একথা বললেও, এর কারণ অবশ্যই রাজনৈতিক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই মন্তব্যটি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্য꧋াসোসিয়েশন-এর সভাপতি তথা একদা কংগ্রেস নেতা এবং বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিবল🦄ের উদ্দেশে।
কারণ, কপিল সিবল এই একই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, সংবিধানের আদর্শ ওꦦ মূল্যবোধ এবং ভারতীয়দের স্বার্থ রক্ষা করতে সুপ্রিম কোর্টকে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। 🗹শীর্ষ আদালতকে প্রয়োজনে বারবার সরকার পক্ষকে মনে করিয়ে দিতে হবে, তাদের কর্তব্য কী এবং কেন সর্বদা বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা রক্ষা করা দরকার?
সিবলের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদী। তিনি বলেন,ꦚ 'একজন জ্ঞানী ব্যক্তি এই বিষয়টি উত্থাপিত করেছেন। সেই কারণেই আমি এই বিষয়ে আমার বক্ত🐠ব্য পেশ করছি। এই সমাবেশে অবশ্য এই বিষয়ে একটি ইঙ্গিতই যথেষ্ট এবং তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করার কোনও প্রয়োজন নেই।'
মঙ্গলবার আয়োজিত (২৬ নভেম্বর ২০২৪) সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতার শুরুতেই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় (২৬ নভেম্বর) নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, '২০০৮ সালের এই দিনটিতে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছি𓆉ল, তার কথা ভুললে চলবে না। সেদিন যে নিরপরাধ ব্যক্তিরা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, আমি তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।'
এই প্রসঙ্গেই সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন মোদী।🐻 তিনি বলেন, 'আমি আবারও বলছি, যে সমস্ত জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিঘ্নিত করবে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।...'
২০০৮ সালের সেই ঘটনা প্রসঙ্গে পরোক্ষভাবে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের ভূমিকারও সমালোচনা করেন মোদী। বুঝিয়ে দেন, মুম্বই হামলার পর তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের যতটা দ্রুততা ও কঠোরতার সঙ্গে এই হামলার জবাব দেওয়া উচি♒ত ꦰছিল, তা করা হয়নি।
তিনি বলেন, 'দেশের প্রত্যেক নাগরিক যাতে সসম্মানে জীবন যাপন করতে পারেন এবং সর্বক্ষেত্রে সামাজিক সুবিচার পান, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।... রাম, সীতা, হনুমান, বুদ্ধ, মহাবীর এবং নানক - মূল সংবিধানের পৃষ্ঠায় যাঁদের ছবি শোভা প📖ায়, তাঁদের আদর্শই আমাদের সমস্ত নীতির ভিত্তি।'
মঙ্গলবারের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি বলেন, বিচারপতিরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করার সময় মানুষের অধিকারের দ্বন্দ্বজনিত বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এবং সেক্ষেত্রে তাঁরা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন - স্বচ্ছতা, দক্ষতা এব🐻ং দায়বদ্ধতার পাশাপাশি জনগণের বিশ্বাসও বিচার বিভাগের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।