ফের বোমাতঙ্ক দিল্লি বিমানবন্দরে। একাধিক বিমানে বোমা রয়েছে বলে হুমকি বার্তা অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। শোরগোল পড়ে যায় দিল্লি বিমানবন্দরে। এরপরেই তড়ꦺিঘড়ি তদন্তে নেমে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বছর ২৫-এর ওই যুবকের নাম শুভম উপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ব💛িমানে বোমা আছে! হুমকি 🍰ফোন এল কলকাতা বিমানবন্দরে, চূড়ান্ত সতর্কতা
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শুভম উপাধ্যায়কে উত্তম নগরের রাজাপুরী এলাকায় তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক বর্তমানে 🅺কর্মহীন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার অপরাধের কোনও অতীত নেই। একজন🐠 পুলিশ অফিসার জানান, শুভম সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি হুমকি বার্তা দিয়ে পোস্টে উল্লেখ করে দিল্লিগামী বিমানগুলি উড়িয়ে দেওয়া হবে। কোন কোন বিমান ওড়ানো হবে তার তালিকাও দিয়ে দিয়েছিল যুবক। পুলিশের ধারণা বিমানগুলির উড়ানের সময়সূচী সংগ্রহ করে সেই বিমানগুলিতে বোমা রয়েছে বলে একটি হুমকি বার্তা দেয়।
দুটি পোস্ট শনিবার প্রথম দিকে বিমানবন্দরের আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছিল। এছাড়াও, বিমান সংস্থাকে হুমকি বার্তা দেওয়া হয়। এরফলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। ডিসিপি ❀ঊষা রঙ্গনানি (আইজিআই বিমানবন্দর) বলেছেন, ‘হুমকি বার্তা পাওয়ার পরেই আমরা সঙ্গেসঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ওই সমস্ত উড়ানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড সিকিউরিটি প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়। তবে বিস্ফোরক কিছু পাওয়া যায়নি। ফলে এটি ভুয়ো হুমকি ছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত যুবক পুলিশকে জানায়, টিভিতে একই ধরনের সংবাদ দেখে তিনি বার্তা পাঠাতে চꦆেয়েছিলেন। তিনি নিজের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। এরপরেই বিমানবন্দর🦹ে এবং এর আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রায়ই বিমানবন্দরগুলিতে এই ধরনের বোমা রাখার বা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসে। এরফলে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়। সংশ্লিষ্ট বিমানটি ভ🎐ালো করে খতিয়ে দেখার পর তার পর উড়ান শুরু করে। গত দুসপ্তাহে এই ধরনের হুমকি বার্তার ফলে দেশে প্রায় ২৫০ উড়ান ব্যাহত হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে মুম্বই, কলকাতা সহ্য একাধিক বিমানবন্দরে হুমকি বার্তা আসে।কলকাতা বিমানবন্দর হাইড্রোজেন বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু সম্প্রতি বলেছেন, যে মন্ত্রক যাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করবে না এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।