উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। জানা গিয়েছে, হুমকির মুখে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন মৃত কানহাইয়া লাল। আর্জির প্রেক্ষিতে কানহাইয়াকে গত ১৬ জুন নিরাপত্তা প্রদান করে পুলিশ। তবে কানহাইয়ার পরিবারের অভিযোগ, নিরাপত্তা দেওয়ার তিনদিন পরই তা প্রত্যাহা🎃র করা হয়।
জানা গিয়েছে গত ৯ জুন কানহাইয়া লাল নাকি ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেই পোস্টে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে সমর্থন করা হয়। ১১ জুন কানহাইয়া লালকে বলা হয় যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দোকানদার নাজিম ধানমন্ডি থানায় একটি এফআইআরꦅ দায়ের করেছিলেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরদিন জামিনে মুক্তি পান কানহাইয়া।
কিন্তু মুক্তির পর কানহাইয়া তাঁর পরিবারকে জানান যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁকে হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। যারা হুমকি দিচ্ছে তারা নাকি কানহাইয়ার দোকানে রেকিও করে যায়। অজ্ঞাতপরিচয় সেই ব্যক্তিরাই তাঁকে দোকানটা বন্ধ করতে বলে। ভয় পেয়ে তিনি ধামান্ডি থানায় অভিযোগ জানান ১৫ জুন। এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে যান কান💛হাইয়া। ১৫ জুন তিনি সাময়িকভাবে দোকান বন্ধও করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পরের দিন কানহাইয়ার দোকানের বাইরে দুই পুলিশ ক🔯নস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু কানহাইয়া লাল দোকান বন্ধ রাখছিল দেখে ১৮ জুন পুলিশ কনস্টেবলরা চলে যায়। কানহাইয়ার ২০ বছর বয়সি ছেলে যশ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার বাবা যখন নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন, তখন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে তাদের পক্ষে নিরাপত্তা কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য মোতায়েন করা সম্ভব নয়। পরিবর্তে, তারা আমাদের দোকান খোলার আগে এটি নিরাপদ কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেছিল।’ এদিকে দোকানের কর্মী তথা এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী রাজকুমার শর্মা জানান, দুই দিন পুলিশ মোতায়েন ছিল দোকানের সামনে তৃতীয় দিন এই দুই পুলিশকর্মীকে ফেরত নিয়ে নেয় থানা। এদিকে পুলিশের যুক্তি, নিরাপত্তা পাওয়া সত্ত্বেও কানহাইয়া দোকান খুলছিলেন না। তাই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।