দিল্লি প্রগতি ময়দান টানেলে দুঃসাহসিক লুঠপাটের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ সব মিলিয়ে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ আগেই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু দুজ🧸ন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। মঙ্গলবার সেই পলাতক দুজনকেও ধরে ফেলেছে পুলিশ। তাদেরকে জেরা করে পুলিশ আরও এক অভিযুক্তের সন্ধান পায়। শনিবার বিকালে প্রগতি ময়দান টানেলে গাড়ি থামিয়ে পিস্তল দেখিয়ে লুঠপাট করেছিল দুষ্কৃতীদের দল। এরপর তারা বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু গোটা ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে।
দেখা যা༺য় মাত্র ১৩ সেকেন্ডের অপারেশন চালিয়েছিল ওই দুষ্কৃতীদল। তার মধ্যেই তারা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
এক স্বর্ণব্যবসায়ীর কিছু টাকা গুরগাঁওতে অপর এক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো লাল কেল্লার কাছ থেকে অ্য়াপౠ ক্যাব নিয়ে তারা যাচ্ছিল। এদিকে প্রগতি ময়দান টানেলের অপর প্রান্তে আচমকাই গাড়ির সামনে দুটি বাইকে এসে দাঁড়ায়। এরপর বাইক আরোহীরা এসে ক্যাবের দরজা খুলে পিস্তল দেখাতে শুরু করে। এরপরই টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে তারা চম্পট দেয়।
ওরা চলে যেতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপরই নিউ দিল্লি পুলিশ, স্পেশাল সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ঘটনার তদন্তে নেমে পড়ে। পুলিশ জানতে পারে মুকারবা চক এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। জꦉানা যায় লাল কেল্লা থেকেই তারা গাড়িটিকে ফলো করছিল। কিন্ত𒊎ু রাজঘাট পর্যন্ত জ্যাম থাকার জন্য তারা কিছু করতে পারছিল না। এরপর তারা প্রগতি ময়দান টানের পার হতেই অপারেশন শুরু করে। তবে প্রথমদিকে পুলিশ বুঝতে পারছিল না কারা এর পেছনে রয়েছে।
কিন্তু প্রগতি ময়দান টানেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কীভাবে এতবড় ঘটনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে কি পর্যাপ্ত নি🔯রাপত্তা ছিল না ওখানে? তবে রাজধানীর একাধিক আন্ডারপাস, সাবওয়ে, টানেলের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রগতি ময়দান টানেলের কাছেই সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টও পড়ছে। কিন্তু সেই টানেলেই এভাবে গাড়ি থামিয়ে লুঠপাটের ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপর দিল্লি পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা পুলিশ খতিয়ে দেখ൲ে। পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।