এলএন রাও
রাশিয়ান প্র্যাঙ্কস্টার নিজেকে ইউক্রেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পেট্রো পোরোশেনকো দাবি করে প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে ফোন করে বসেন। শুধুই ফোনই করেননি রীতিমতো বোকাও বানালেন তাঁরা। ইউক্রেন ও বেলারুসের পরিস্থিতি আলোচনার জন্য় তাঁরা ফোন 🅠করেছিলেন। তবে আসলে খোদ প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে প্র্যাঙ্ক করে ফেললেন তাঁরা।
মার্কেলের অফিস জানিয়েছে, প্ཧরাক্তন জার্মান চ্যান্সেলার গত ১২ জানুয়ারি একটি ফোন পেয়েছিলেন। একজন ফোনে, নিজেকে ইউক্রে♛নের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পেট্রো পোরোশেনকো দাবি করেছিলেন। এদিকে সেই কথোপকথনে একজন জার্মান- ইউক্রেনিয়ান দোভাষিও ছিলেন।
এদিকে কথাবার্তার পরে মার্কেল মন্ত্রকের কাছে একটি ইমেল করেন। মোটামু🔯টি ফোনে যে কথাবার্তা হয়েꦿছিল তারই একটি প্রভাব তিনি ইমেলের মাধ্য়মে তুলে ধরেন।
এদিকে ভ্লাদিমির কুজনেতসভ ও আলেক্সিই স্টোলিয়ারভ যারা ভোভান আর লেক্সাস বলে পরিচিত তাঁরা তাঁদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই ফোনের কথা তুলে ধরেন। আসলে ফোনটা করেছিলেন তারাই। তারাই কার্যত বোকা বানি💫য়েছেন খোদ প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলারকে। তারাই প্র্যাঙ্কস্টার।
এদিকে এই প্র্যাঙ্কস্টাররা এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট, পোলিশ প্রেসিডেন্ট, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রেসিডেন্ট বরিস জনসনকে এভাবে ভুয়ো ফোন করে বো🐻কা বানিয়েছিলেন। এলটন জন ও প্রিন্স হ্যারিকেও এভাবেও ফোন করে তারা বোকা বানিয়েছিলেন।
এদিকে বেলারুসে আগ্রাসন করা হচ্ছে। মিন্সক শান্তি চুক্তি নিয়েও ফোনে কথাবার্তা হয়। সেই সব ফোনালাপের কিছুটা প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সবটাই ছিল কার্যত প্র্যাঙ্ক। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য় ꦰবিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত হাসাহাসি হচ্ছে। গোটাটাই ভুয়ো ফোন ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। জনপ্রিয় প্র্যাঙ্কস্টার এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত পেট্রো পোরোশেনকো ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মার্কেল ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সালে শেষ পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলার ছিলেন। আর সেই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের সঙ্গেই প্র্যাঙ্ক করলেন দুজনে। রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব জুড়ে টানাপোড়েন তখনই সামনে এল এই ফোন😼ালাপের কথা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংল🃏ায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup