তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর চুক্তি রয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত। কিন্তু তিনি ২ মে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফলাফলের দিনই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন আর তিনি ভোটকুশলীর কাজ করবেন না। প্রশান্ত কিশোরের এই ঘোষণার পর নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপ কী, তা জানাননি তিনি। তারপর দফায় দফায় দেখা করেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। দেখা করেছেন রাহুল–প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গেও। সেখানে সোনিয়াও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকেই তাঁকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন রাহুল বলে জল্পনা। এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের মুখ্য পরামর্শদাতার পদ ছাড়লেন তিনি।এই বিষয়ে প্রশান্ত কিশোর একটি চিঠি লিখেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে। কী লিখেছেন তিনি? তিনি লিখেছেন, ‘রাজনাতি থেকে বিরতি নেওয়ার আমার যে সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে আপনি জানেন। তাই আপনার মুখ্য পরামর্শদাতার দায়িত্ব আমি আর চালিয়ে যেতে পারছি না। আমি আমার পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত যাতে নিতে পারি, আমার অনুরোধ আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিন। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জোট বাঁধার কাজ করছেন। সেই কাজ করে চলেছেন স্বয়ং প্রশান্ত কিশোর। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়। প্রশান্ত কিশোর বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে চলেছেন। যা নিয়ে জল্পনা চলছে।সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী প্রশান্ত কিশোরকে বলেছেন, ‘আপনি দলকে সাহায্য করতে চাইলে দলে যোগ দিন।’ কিন্তু প্রশান্ত কিশোর সেরকম কোনও কথা দেননি। তবে তিনি যেভাবে একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন এবং আইপ্যাকের টিমকে নামিয়ে দিচ্ছেন তাতে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তিনি একটা বিশেষ জায়গা করতে চাইছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাই প্রশ্ন উঠছে, এবার কি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন প্রশান্ত?