নীতীশ কুমারের শিবির বদল নিয়ে মুখ খুললেন ভোট কুশলী তথা জেডিইউ-র প্রাক্তন নেতা প্রশান্ত কিশোর। পিকে বলেন, গত দশ বছর ধরে বিহারের রাজনৈতিক অস্থিরতার নেপথ্যে থাকা মূল চরিত্র হলেন নীতীশ কুমার। প্রশান্ত বলেন, ‘নীতিশ কুমার এই পরিস্থিতির প্রধান চরিত্র, অনুঘটক। বিহারের নাগরিক হিসাবে আপনি🐼 কেবল আশা করতে পারেন যে তিনি এখন যে জোট গঠন করেছেন তাতে তিনি দৃঢ় থাকবেন।’
এদিকে নীতীশের শিবির বদ🌊লের নেপথ্যে আসল কারণ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে হতে পারে বলে অনেকেরই মত। উল্লেখ্য, বিগত একবছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বড় ‘অ-কংগ্রেসি’ বিরোধী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে তাঁর সেই অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন নীতীশ। যদিও এই বিষয়ে প𒁏্রশান্ত কিশোর ভিন্ন মত পোষণ করেন। এই বিষয়ে প্রশান্ত কিশোর এএনআইকে বলেন, ‘আমি মনে করি না নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা পোষণ করেন। তবে আমি এই বিষয়ে কোনও পূর্বাভাস করতে চাই না। তাঁর মস্তিষ্কে কী চলছে তা আমার জানা নেই। তবে আমার মনে হয় এই জোট শুধুমাত্র বিহারের রাজনীতির কথা মাথায় রেখে গঠন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাতারাতি নয়, গত দুই মাস ধরে চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছিল বিহা♊রের পট পরিবর্তনে꧑র!
প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘২০১৩-১৪ সাল থেকে এটি বিহারে সরকার গঠনের ষষ্ঠ প্রচেষ্টা। যখনই কারও রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রত্যাশা পূরণ হয় না, তখনই সরকারের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়।’ প্রশান্ত বলেন, ‘নীতীশ কুমার বলেছেন যে তি♓নি নয়া সূচনা করছেন। আশা করি তিনি বিহারের মানুষের আকাঙ্খা পূরণ করবেন।’ পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোরের মত, ২০১৫ সালের মহাজোট এবং ২০২২ সালের মহাজোটে পার্থক্য রয়েছে। তাঁর মতে, ২০১৫ সালে জোট হয়েছিল রাজনৈতিক স্বার্থে। আর এবার জোট হয়েছে প্রশাসনিক স্বার্থে। পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, ‘২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত নীতীশ কুমারকে দেখে মনে হয়েছে তিনি জোর করে বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন।’