কয়েকদিনের মধ্যেই ছয় গুণ করোনা সংক্রমণ বেড়েছে দেশে। এই আবহেই আজ থেকে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মী এব﷽ং কোমর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্বদের। সোমবারই দেশের বুলেটিনে বলা হয় যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার জন। আর এই সংখ্যাটাই গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১০ হাজারের নিচে ছিল।♒ এই আবহে ষাটোর্ধ্ব এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের কোভিড মুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র।
টিকাকরণ শুরু হতেই দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে টিকা নেওয়া এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না এই টিকার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ডোজ সবার নেওয়া উচিত।’ তামিলনাড়ুতে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন স্ব🥀য়ং টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে ফ্রন্টলাইন কর্মী ও ষাটোর্ধ্বদের টিকাকরণ বিষয়টি দেখে আসেন সকাল সকাল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমনꦜ্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বার্তা দেন।
উল্লেখ্য, দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সব থেকে বেশি প্রভাবিত এর জেরে। কলকাতার একাধিক হাসপাতালের পরিস্থিতি খুবই খারাপ কোভিডের জেরে। স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমিত হওয়ার জেরে পরিষেবা দেওয়ার কেউ নেই। এনআরএস, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল, কলকাতা মেডিক্যাল সহ একাধিক হাসপাতালের একই অবস্থা। শুধু কলকাতা বা ভারত নয়, ওমিক্রনে জর্জরিত বিশ্💛বের সব দেশই। ফ্রান্সে তো এমনই অবস্থা যে সেখানে উপসর্গহীন হলে করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে যাওয়ার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
এদিকে টিকাকরণ নিয়ে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেই প্রকিশন ডোজ মিলবে। আগেরবার যদি কেউ কোভ্যাক্স🧸িন নিয়ে থাকেন তবে তৃতীয় ডোজের ক্ষে🦩ত্রেও সেই টিকাই মিলবে। আর যদি কোভিশিল্ড নিয়ে থাকেন তাহলে এবারও সেই টিকাই নিতে হবে সংশ্লিষ্ট টিকা প্রাপককে। তৃতীয় ডোজটি নেওয়ার সময়ে চিকিৎসকের অনুমতিপত্র লাগবে না। কিন্তু তৃতীয় ডোজটি নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। টিকা নিতে যাওয়ার সময় ভোটার কার্ড, আধার, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো কোনও একটি পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।