দেশজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন চাষিরা। বিলে সায় না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন বিরোধীরাও। তবে সেই আর্জিতে সাড়া দিলেন না রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনটি কৃষি বিলেই অনুমোদন দিলেন তিনি। তারপর তড়িঘড়ি নয়া তিন আইনের বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিল কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দাবি, ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন আইন’ ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) আইন’ এবং ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন আইন’-এর ফলে দেশের চাষিরা আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, শিল্পপতি ও বেসরকারি সংস্থাকে পাইয়ে দিতে কৃষকদের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ নিয়ে এসেছে মোদী সরকার। তাঁদের অভিযোগ, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে বিলে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তার ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে চাষিদের থেকে ফসল, আনাজ কিনতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। যদিও মোদী একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বজায় থাকছে। চালু থাকবে সরকারের তরফে সরাসরি চাষিদের থেকে কৃষিপণ্য কিনে নেওয়ার রীতিও। তাতে অবশ্য সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, পৃথক একটি বিল এনে মোদী সরকারকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তাতে অবশ্য কর্ণপাত করেনি মোদী সরকার।