প্রায় ২৪ বছর আগে দিল্লির লালকেল্লায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় দোষী পাকিস্তানি জঙ্গি মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাকের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, শীর্ষ আদালতে রেহাই না পাওয়ায় রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাক সন্ত্রাসী। তবে রাষ্ট্রপতিও তার আর্জি খারিজ করে দেওয়ඣায় এবার আশফাকের ফাঁসি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বুধবার আশফাকের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার চক্রী, 𒈔পাক জঙ্গি সাজিদকে কালোতালিকা করার প্রস্তাব,♊ বাগড়া দিল চিন
জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আশফাক আবেদন জানিয়েছিলেন গত ১৫ মে। তবে ২৭ মে সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর লালকেল্লায় ভারতীয় সেনার রাজপুতানা রাইফেলসের ৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের শিবিরে হামলা চালিয়েছিল লস্কর ই তৈবার জঙ্গিরা। সেই হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন পাক জঙ্গি আশফাক। হামলার মূল পরিকল্পনা ছিল এই আশফ♈াকের। সেই হামলায় দুই সেনা, এক সাধারণ নাগরিক সহ মোট তিন জন নিহত হয়েছিলেন। তবে সেখান কোনওভাবে দেওয়াল ভেঙে পালাতে সক্ষম হয়েছিল জঙ্গিরা।
পরে এই ঘটনার তদন্তে নেমে চারদিন পর পাকিস্তানের নাগরিক আশফাককে গ্রেফতার করেছিল দিল🎃্লি পুলিশ। যদিও আশফাক নিজেকে একজন ভারতীয় নাগরিক বলেই প্রথমের দিকে দাবি করেছিলেন। তার দাবি ছিল, তিনি জম্মুর বাসিন্দা, পেশায় একজন শাল বিক্রেতা। এমনকী একজন ভারতীয় মহিলাকে তিনি বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। দিল্লির নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচার শুরু হয়। তাতে ২০০৫ সালের𓃲 অক্টোবরে দিল্লির নিম্ন আদালত তার বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমাণ পেয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।