আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশ। এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও আরজি করের ঘটন🍨ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি এবং নারী নিরাপত্তার♏ দাবিতে সরব হতে হয়েছেন মানুষ। পাকিস্তান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ) আরজি করে নৃশংস ঘটনার নিন্দা করেছে এবং কঠিন সময়ে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বারবার বাম-রাম তত্ত্ব মমতার,🅷 তবে আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের জালে ‘পার্টির ছেলেরা’
এদিকে, প্রাক্তনꦺ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সেই অবস্থার মধ্যেও আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশি নাগরিকদের সরব হতে দেখা যায়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার মানুষ এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়। ‘আওয়াজ তোলো নারী’ ব্যানারে মিছিল করে। বিক্ষোভকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত♍্রাসবিরোধী রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে সারা বিশ্বে ধর্ষণের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন।
একইসঙ্গে, ‘ঢাকা টু কলকাতা-উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘সিলেট টু কলকাতা-উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ , ‘খুলনা থেকে কলকাতা-উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এবং ‘না মানে না ও হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’ এই স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। চিকিৎসক ও অভিনেতা আজমেরি হক বাঁধন এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার দেশের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, তাই আরজি কর হাসপাতালের এই বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে আমার এক দিনের সময় লেগেছে। ছাত্ররা আমাকে প্রতিবাদে যোগ দিতে বললে আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। আমরা সকল ধর্ষণের𓆏 শিকারের বিচার চাই।’