উৎকর্ষ আনন্দ
রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তির স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়ে ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল। তবে সোমবার সেই আবেদন শুনতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত মামলার পূর্ববর্তী দুটি রায় ইতিমধ্যেই বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছে। তাই বারবার একই ইস্যুতে মামলা চলতে পাඣরে না। প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এর আগেও উঠেছে একাধিকবার। প্রতিবারই অভিযোগের তির ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে।
মোদী জমানার প্রথম পাঁচ বছরে রাফাল নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি ভারত অনেক বেশি টাকা দিচ্ছে এই ফাইটার জেটের জন্য। তারা অনেক কমে এই চুক্তি করে ফেলেছিল বলে দাবি কংগ্রেসের। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, কংগ্রেস কখনও এই চুক্তি সংক্রান্ত পাকা কথা বলেনি। তাই তারা কী টাকায় চুক্তি করতে চেয়েছিলജ, সেই নিয়ে কথা বলে কি লাভ। বাস্তবেই কংগ্রেস আমলে এই চুক্তি হয়নি। পরে এই চুক্তি সই হয় ও ধীরে ধীরে করে ভারতে ফ্রান্স থেকে রাফাল আসতে শুরু করে। সুপ্রিম কোর্ট ও ক্যাগ সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছে।
তবে এরই মাঝে দাবি উঠেছে, ফরাসি সংস্থা দাসোঁ এক ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীকে ১.১ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ দিয়েছিল। এই অভি🧜যোগের ভিত্তিতেই ফের একবার রাফাল মামলায় স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতে মামলা হয়। তবে ভারতের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ এই পিটিশন গ্রহণ করতে অস♉্বীকার করে।
যদিও আবেদনকারী আইনজীবী গতবছরের মিডিয়াপার্টের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে দাবি করেন, ৫০টি রাফালের রেপ্লিকা মডেল বানানোর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল সুষেণ গুপ্তক✃ে। সুষেণ নাকি ২০১৮ সালে সেই ঘুষ পেয়েছিলেন। সিঙ্গাপুরে ইন্টারডেভ বলে একটি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে 🐓এই টাকা হস্তান্তর হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে এই আবেদনে কোনও ভিত্তি খুঁজে পায়নি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।