‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রয়াত সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এমনটাই♐ জানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ইয়েচুরির শেষ যাত্রায় আমেরিকা ছিলেন রাহুল। তবে শুক্রবার দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ইয়েচুরির স্মরণ সভায় যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি একথা জানান। একইসঙ্গে ইয়েচুরির স্মৃতিচারণা করেন কংগ্রেস নেতা। সীতারামকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে স্মরণসভায় আবেগঘন বক্তব্য রাখেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘ইয়েচুরি ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস এবং অন্যান্য শরীক দলের মধ্যে সেতু বন্ধনের ভূমিকা পালন করেছিলেন।’ এরজন্য ইয়েচুরির অবদানের প্রশংসা করেছেন রাহুল।
আরও পড়ুন: সেরা ছাত্র থেকে ছাত্রনেতা! বারবার রা♒জনীতিরඣ 'প্রথা' ভেঙেছেন ইয়েচুরি
একটি আবেগঘন বক্তৃতায়, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ইয়েচুরি এমন একজন বন্ধু ছিলেন যার মধ্যে রাজনীতিবিদদের বৈশিষ্ট্য ছিল না। তিনি কংগ্রেস পার্টি এবং ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দ✤লের মধ্যে সেতুর ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন । তিনি জোটকে একত্রে ধরে রেখেছিলেন কারণ তিনি নমনীয় ছিলেন।’ ইয়েচুরির আরও প্রশংসা করে রাহুল বলেন, ‘তাঁর মধ্যে෴ রাগ, আগ্রাসন, অহংকার... এই জিনিসগুলি অনুপস্থিত ছিল, যা একজন রাজনীতিবিদদের মধ্যে সচররাচর দেখা যায় না।’
ইয়েচুরির স্মৃতিচারণা করে রাহুল জানান, কোভিডে যখন প্রয়াত সিপিএম নেতারা ছেলে মারা গিয়েছিলেন সেই সময় তিনি তাঁকে ফোন করেছিলেন। রাহুলের কথায়, ‘আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না তখন এবং আমি নীরব ছিলাম। কারণ সেটা ছিল একজন মানুষের কাছে জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। কিন্তু আমি তাঁর সঙ্গে কয়েকদিন পরে দেখা করেছি। এরপরে পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন তিনি।’ ইয়েচুরি𝓰 সবসময় দেশের স্বার্থে কাজ করেছেন বলে জানান রাহুল।
প্রয়াত সিপিএম নেতারা অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী জানান, দুজনের শেষ দেখা হয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে। সীতারামকে তিনি সেখানে কাশতে দেখে বাড়ি না গিয়ে সোজা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ইয়েচুরি হাসপাতালে যেতে চাননি। একপ্রকার তাঁকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন রাহুল। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে ইয়েচুরির যে বন্ধুত্ব ছিল তার থেকে তাঁর মায়ের সঙ্গে বেশি বন্ধুত্ব ছিল। সীতারাম যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন তাঁকে সেখানে দেখতে গিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু, আর তিনি হাসপাতাল থেকে ফেরেননি। স্মৃতিচারণা করে রাহুল বলেন, মানসিক চাপে পড়লেই সিপিএম নেতা সিগারেꦚট ধরাতেন। সেই কারণে তাঁকে তাড়াতাড়ি হারাতে হয়েছে বলে মনে করেন রাহুল।
কংগ্রেসের সভাপতি এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও ছিলেন স্মরণসভায়। তিনিও ইয়েচুরির ভুয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্ত🎉ন সিপিআই সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত, ডিএমকে-এর কানিমোঝি করুণানিধি, এনসিপি (এসপি)-এর সুপ্রিয়া সুলে, এনসি নেতা ফারুক আবদুল্লাহ প্রমুখ।