লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে দু’মাস হয়েছে। কিন্তু ভাঙা সংগঠন এবং দুর্বল নেতৃত্ব নিয়ে এখনও বসে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। এই খবর যাওয়ার পর নয়াদিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে ডেকে পাঠাল কং🍃গ্রেস হাইকমান্ড। আর তা জানার পর থেকেই স্নায়ুর লড়াই শুরু হয়েছে বিধান ভবনে। আগামী ২৮ জুলাই রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে বৈঠক হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। সেখানেই ঠিক হয়ে যাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন বলে সূত্রের খবর। বাংলা থেকে প্রায় ২০ জন কংগ্রেস প্রতিনিধি যোগ দেবেন হাইকমান্ডের বৈঠকে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় স্তরে ৯৯টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তবে সেখানে বাংলার অবদান ১টি আসন। আর এই ফলাফলের দায় নিতে হবে অধীররঞ্জন চৌধুরীকেই। কারণ তিনিই বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিলেন। আর নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একমাত্র মালদা উত্তর কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও জিততে পারেনি কংগ্রেস। এমনকী অধীর চৌধুরী নিজেই বহরমপুরে হেরে গিয়েছেন। সুতরাং সবেধন নীলমণি ঈশা খান চৌধুরী💖। তৃণমূল কং💛গ্রেসের কাছে হেরেছেন পাঁচবারের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাই তাঁর উপর কোপ পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: পুজো কমিটিগুলির কাছে💧 পৌঁছচ্ছে কলকাতা পুলিশের নির্দেশ, মানতে হবে নানা বিধি
ইতিমধ্যেই অধীর চৌধুরী একটি রিপোর্ট তৈরি করে সোনিয়া গান্ধীকে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যেখানে পরাজয়ের কারণ লেখা আছে। কিন্তু তার জন্য কি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের হাতে থেকে যাবে? উঠছে প্রশ্ন। লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। যে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিজেকে ‘অস্থায়ী সভাপতি’ বলেছিলেন অধীর। তখন থেকেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বহরমপুরের রবীন হুড অধীর তখন বলেছিলেন, ‘আমি এখন কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি। কারণ মল্ܫলিকার্জুন খাড়গে যেদিন থেকে সর্বভারতীয় সভা🍎পতি হয়েছেন, সেদিন থেকে দেশের আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি। সকলেই অস্থায়ী সভাপতি।’
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব চেয়েছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে। সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। আর হাত মিলিয়ে ছিলেন সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে। ফল কংগ্রেস এক, বামেরা শূন্য। সেখানে এখন ইন্ডিয়া জোটে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং অধীরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। আর তা তুলছে দলের অন্দরে থাকা নেতারাই। অধীরকে 🌠সরে যেতে হলে বাংলায় কংগ্রেস–তৃণমূল জোট হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অধীরের রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষের দিকে পৌঁছে যাবে। আর যদি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এখনও থেকে যান তাহলে বাংলায় কংগ্রেসের নেতারা কেউ তাঁর কথা শুনবেন না। তাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে বদল হবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৮ জুলাই সব প্রকাশ্যে আসবে।