বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে উপেক্ষিত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এমনই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আজকে দেহরাদুনে এক জনসভায় কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আজ দিল্লিতে বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ইন্দিরা গান্ধীর কোনও উল্লেখ ছিল না। যে মহিলা এই দেশের জন্য ৩২টি বুলেট খেয়েছিলেন, তাঁর নাম আমন্ত্রণপত্রে ছিল না কারণ এই সরকার সত্যকে ভয় পায়।’রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান ১৩ দিনের মধ্যে মাথা নত করেছিল। সাধারণত, একটি যুদ্ধ ৬ মাস বা এক থেকে দুই বছর ধরে চলে। আফগানিস্তানকে হারাতে আমেরিকার ২০ বছর লেগ গিয়েছিল। কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে ১৩ দিনের মধ্যে হারায়। কারণ ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং এক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আজকে। ১৯৭১ সালের আজকের দিনেই ঢাকার রমনা রেসকোর্সে ভারতীয় সেনার সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি সেনা। সেই উপলক্ষে প্রতিবছর ভারতেও ১৬ ডিসেম্বরের দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালিত করা হয়। বিজয় দিবসের ৫০তম বার্ষীকি হিসেবে এই বছর সীমান্তের দুই পারেই বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে দিনটি।প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের সময় ইন্দরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। এই কারণে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল ইন্দিরা গান্ধীর। তবে এদিন দিল্লির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মুখে ইন্দিরা গান্ধীর উল্লেখ ছিল না। সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছিলেন, ‘আজ ৫০তম বিজয় দিবস৷ মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গানাদের বীরত্ব, আত্মত্যাগের কথা আমার মনে পড়ছে৷ আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসী সেনাজওয়াদের কথাও মনে পড়ছে৷ আমরা একসঙ্গে অত্যাচারী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলাম এবং তাদের পরাজিত করেছিলাম৷ এই উপলক্ষ্যে ঢাকায় গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, যা প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য৷’ সেখানেও ইন্দিরা গান্ধীর উল্লেখ ছিল না।