দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে দিল্লির ১২ তুঘলক রোডের বাংলোতে বসবাস করেছেন রাহুল গান্ধী সাংসদ হিসাবে। ২০০৫ সাল থেকে তিনি এই বাংলোতে। তবে এবার সাংসদ পদ খোয়াতেই সেই বাংলো ছেড়ে দিতে হল রাহুল গান্ধীকে। উল্লেখ্য, মোদী পদবী নিয়ে এক মন্তব্যের জেরে সুরাট কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারꦕাবাসের সাজা দেওয়া হয়। তারপরই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়। এরপর তাঁকে সাংসদের বাংলো খালি করতে বলা হয়। আর সেই নির্দেশ অনুযায়ী আজ সাংসদের বাংলো ছেড়ে দিলেন রাহুল গান্ধী।
কর্ণাটকের কোলারে ২০১৯ সালে এক জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় মোদী পদবী নিয়ে এক মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে সুরাট কোর্ট ও পাটনার এক কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মানহানি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার একটিতে সুরাট কোর্টে রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ ছিল। সেই মামলায় আপাতত রাহুল জামিনে রয়েছেন। তবে তারই মাঝে তাঁর সাংসদ পদ চলে যাওয়ায়, নোটিস আসে সাংসদের বাংলো ছাড়ার। ৫২ বছর বয়সী কংগ্রেসের এই সাংসদ রাহুল গান্ধী, দিল্লির ১২ তুঘলক রোডের বাড়িতে দীর্ঘ ১৯ বছরꦏ ধরে বসবাস করছিলেন। নোটিস আসার পরই তিনি সাংসদের বাংলো ছেড়ে দিলেন আজ। ২২ এপ্রিল শনিবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সাংসদের বাংলো ছাড়ার পর রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। প্রশ্ন ওঠে, নির্বাচন কমিশন যেখানে বলছে, যে মামলা কোর্টের অধীন, কোনও রায় আসেনি, ফলে রাহুলের কেন্দ্র কেরলের ওয়েনাদে উপনির্বাচনের তাড়া সেরকম নেই, সেখানে রাহুল গান্ধী নোটিসের একমাসের মধ্যেই এত তাড়াহুড়ো করে কেন ছাড়লেন বাংলো?
(তাবড় শিল্পপতি ধনকুবের জ্যাক মাকে এবার নতুন ভূমিকায়!♚ কী করতে চলেছেন জꦡানেন?)
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ভারতের জন🍷গণ এই বাংলো আমাকে দিয়েছে। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যেকোনও মূল্য চোকাতে রাজি আছি। এটা সত্যি বলার দাম। আমি সত্যি কথা বলার জন্য যেকোনও দাম দিতে রাজি আছি।’ প্রশ্ন উঠেছে এই বাংলো ছেড়ে রাহুল গান্ধী কোথায় গিয়ে বসবাস করবেন? তার জবাবে রাহুল বলেন, তিনি তাঁর মা তথা দলের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বাড়িতে থাকতে চলেছেন। এদিন এই বাংলো ছাড়ার সময় রাহুলকে সাহায্য করতে দেখা যায় বোন প্রিয়াঙ্কা ও মা সনিয়া গান্ধীকে। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিলের মধ্যে এই বাংলো ছাড়ার জন্য ২৭ মার্চ নোটিস এসে গিয়েছিল রাহুল গান্ধীর কাছে।