ফের পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্যদের বাড়িতে হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং পুলিশের। জানা গিয়েছে আজকে মোট আটটি রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। আজও বেশ কয়েকজন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুয🐼ায়ী, দিল্লি, অসম, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। এখনও পর্যন্ত এই তল্লাশি অভিযানে মোট ২৪৭ জনকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও ১৩টি রাজ্যের পুলিশ একযোগে অভিযান চালায় ১৫ রাজ্যে। জানা গিয়েছে, সেই অভিযানে ধৃত ১০৬ জন পিএফআই নেতা থেকে যে তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই আজকে আবার অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম, দিল্লি, 🅷মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র, বাংলা, বিহার, মণিপুরে সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলেছিল।
এনআইএ জানায়, পিএফআই ও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রচুর ফৌজদারি মামলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান। অধ্যাপকের হাত কেটে নেওয়া, একღাধিক খুন, বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মতো ঘটনায় নাম উঠে আসে পিএফআই সদস্যদের। এই পরিস্থিতিতে চালানো হয়েছিল এই অভিযান। অভিযানে প্রচুর নথি, নগদ টাকা, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। গোটা অপারেশন প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও অন্যান্য এজেন্সির কর্তারা।
এদিকে বৃহস্পতিবারের অভিযানের পরই শুক্রবার বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায়꧒ নেমেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্য এবং সমর্থকরা। কেরলে শুক্রবার প্রায় ৭০টি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। বহু দোকানে ভাঙচুর করা হয়েছে। এই হিংসার সঙ্গে জড়িত🦩 ৫০০ পিএফআই কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়।