প্রেমিকার বয়স ১৬। প্রেমিক হল ২২ বছরের যুবক। নাম তরুণ বৈষ্ণব। অপরিণত বয়সের এই প্রেমের কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়ে নাবালিকা। নাবালিকা অবস্থাতেই মা হয় সেই নাবালিকা। এই আবহে ২২ বছর বয়সি যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনের অধীনে মামলা হয়। এর 𝓰প্রেক্ষিতেই উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করল রাজস্থান হাই কোর্ট। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরু🅰দ্ধে মামলাও খারিজ করেছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি দীনেশ মেহতা এই গোটা ঘটনাটিকে ‘অনিয়ন্ত্রিত আবেগের অপরিণত কীর্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত এবং গর্ভবতী নাবালিকার যৌন সম্পর্ক একে অপরের সম্মতিতেই ছিল।
বিচারপতি রায়দান করার সময় পর্যবেক্ষণ দেন,🐽 ‘ꦆনাবালিকার সঙ্গে পিটিশনকারী যুবকের যৌন সম্পর্ককে অনুমোদন দিতে পারে না এই আদালত। আদালত সেটা করছেও না। কিন্তু, এটি একটি কঠিন বাস্তবতা যে তাদের প্রেমের সম্পর্ক আইনি এবং নৈতিক সীমার ঊর্ধ্বে চলে গিয়েছে। যার ফলে একটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। এই ভুলটি আদতে অপরিণত কাজ এবং দুই ব্যক্তির অনিয়ন্ত্রিত আবেগের কারণে এটি সংঘটিত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এখনও নাবালিকা।’
উল্লেখ্য, এক নাবালিকা যোধপুরের সরকারি হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিলে ২২ বছর বয়সি যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দেবনগর থানার স্টেশন হাউজ অফিসার। তদন্তের সময় নাবালিকা পুলিশকে জানায়, সে অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত ছিল। নাবালিকার সম্মতিতেই দু’জনের মিলন ঘটেছিল। এরই ফলে সেই নাবালিকা গর্ভবতী হয় এবং সন্তানের জন্ম দেয়। এদিক🅘ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না নাবালিকার পরিবারেরও। এই আবহে আদালতে নাবালিকা এবং অভিযুক্তের অভিবাভকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল।
দুই পক্ষই আদালতকে জানিয়🐼েছে, নাবালিকা ১৮ বছর বয়সের হলেই অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হবে। এই আবহে আদালতের বক্তব্য, ‘দুই পরিবারের মতামতকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। যদি পুলিশের এফাইআর খারিজ না করা হয়, তাহলে পিটিশনকারী যুবককে ১০ বছর এর সাজা ভোগ করতে হবে। এতে উভয় পরিবারেই কষ্ট পাবে। এর ওপর নির্ভর করবে দুই পরিবার ও এক ছোট্ট শিশুর ভবিষ্যৎ। যদি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা এফআইআর বাতিল করা হয়, তবে এটাই ন্যায়বিচার হবে।’