ব্রিকসের সম্মেলনের ফাঁকে সদ্য রাশিয়ার কাজানে মুখোমুখি হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং। চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংএর সঙ্গে ৫ বছর পর এমন কোনও বৈঠকে মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাদাখ সংঘাত পরবর্তী সময়ে এই বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। এই বৈঠকের পরই এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, লাদাখ সীমান্তে গ্রাউন্ডের পরিস্থিতি ♈পুনরুদ্ধারে চিনের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য়মতে পৌঁছানো গিয়েছে।
চাণক্য ডিফেন্স ডায়লগ প্রোগ্রামে এদিন বক্তব্য রাখছিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়েলফেয়ার স্টাডিজ ও ভারতীয় সেনা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,'LACর বেশ কিছু জায়গায় মতবিরোধের সমাধানে ভারত ও চিন কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষাগত স্তরে কথা বলছে। আলোচনার ভিত্তিতে, সমতা ও পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে গ্রাউন্ড পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে ব্যাপক ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে।' এরই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে ঐক্যমত গড়ে উঠেꦰছে, তারমধ্যে রয়েছে অতীতে যেখানে টহল (পেট্রোলিং) ও চারণ হত সেই জায়গাতেই তা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। আলোচনার এটাই বড় দিক, আগে নয়তো পরে কখনও এক সময়ে সমাধান বের হবেই।’
গত ২০২০ সালে এপ্রিলে লাদাখে চিনা আগ্রাসনের জেরে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। গালোয়ানে চিন সেনার আগ্রাসনের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়। ෴শহিদ হন ভারতের ৪০ বীর যোদ্ধা। বিষয়টিকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি দিল্লি। ঘটনার ঠিক আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে ভারতে এসেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর সঙ্গে তামিলনাড়ুর মহালবলীপুরমে সাক্ষাৎ ও বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী। সেই হাইভোল্টেজ বৈঠকের পর কেটে গিয়েছে ৫ বছর। তারপর সদ্য ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনার টেবিলের দুই প্রান্তে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং। দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্তে শান্তি ꦍআলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে স্থাপিত হয়েছে ঐক্যমত। দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে এই ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।