বুধবার দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিট নাগাদ সম্পূর্ণ হতে চলেছে একটি বৃত্ত। যে বৃত্তের সূচনা হয়েছিল ১৯৯০ সালে রথযাত্রার মা🧜ধ্যমে। গ♏ুজরাত পর্বের সেই রথযাত্রায় অন্যতম আয়োজক ছিলেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। ৩০ বছর যিনি অযোধ্যায় দাঁড়িয়ে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চলেছেন।
তবে ৩০ বছর আগে সেপ্টেম্বর মাসে সোমনাথ থেকে নয়াদিল্লির রথযাত্রায় মোদীর ভূমিকা সেভাবে চোখে পড়েনি। লালকৃষ্ণ আডবানির রাজনৈতিক দ্যুতিতে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন রাজনীতির রণাঙ্গনে আসা তরুণ মোদী। তারপর সবরমতী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সেদিনের তরুণ মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসার পর জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী𓆉 হয়েছেন। যদিও জাতীয় রাজনীতি থেকে উঠে আসার সময়ে রাম মন্দির 'আন্দোলন'-এর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেছিলেন।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের উত্তরপ্রদেশে ‘পদ্মফুল’ ফুটবে বলে আশা করেছিল বিজেপি। সেজন্য হিন্দি বলয়ের হৃৎপিণ্ডে প্রচারেও গিয়েছিলেন মোদী। অযোধ্যার কাছে একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন। তবে যাননি রাম জন্মভূমিস্থলে। একইভাবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে অযোধ্যা থেকে ম෴াত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে জনসভায় প্রচার সেরেছিলেন। কিন্তু সেবারও অযোধ্যা বা রাম মন্দিরের বিতর্কিত (সেই সময়) জমির কাছে যাননি মোদী। বিজেপির ইস্তেহারে অবশ্য রাম মন্দির তৈরির কথা বলা হয়েছিল।ܫ
রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর লাইভ আপডেট
গত বছর ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের পরই মোদীর অবস্থান পালটে যায়। এতদিন যে মোদী অযোধ্যার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন, তিনিই রাম মন্দির তৈরির অন্যতম কারিগর হিসেবে তুলে ধরতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় লোকসভায়। গত ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় দাঁড়িয়ে মোদী ঘোষণা করেন, রাম মন্দির তৈরির জন্য ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ তৈরি🍷 করা হচ্ছে। যা বিজেপির অন্যতম ভাবাদর্শের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অঙ্গ।
বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন থাকায় সচেতনভাবেই রাম মন্দির থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন মোদী। কিন্তু শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের সেই বাধা কেটে গিয়েছে। তারপর থেকেই মোদী নিজেকে বিজেপির আদর্ꦉশ পূরণের অন্যতম মুখ হিসেবে তুলে ধরছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কার হাত ধরে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। সেইমতো ২৯ বছর পর অযোধ্যায় পা পড়তে চলেছে মোদীর।