রবিবার ছিল কন্নুরে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের শেষদিন। সেখানেই ঘোষণা করা হল সিপিএমের পলিটব্যুরোতে জায়গা পেয়েছেন বীরভূমের রামচন্দ্𓄧র ডোম। দল সূত্রে খবর, এবারের পার্টি কংগ্রেসে নতুন করে আরও তিনজনকে পলিটব্যুরোতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য়ে অন্যতম দলিত নেতা তথা বীরভূমের লড়াকু প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। এককথায় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এমনকী সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ফের দায়িত্ব পাওয়া সীতারাম ইয়েচুরি আনুষ্ঠানিকভাবে♔ প্রথম দলিত নেতার পলিটব্যুরোতে অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক পর🎶্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশের রাজনীতিতে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে দলিত ভোটাররা। আর সেই পরিস্থিতিতে এতদিন সিপিএম পলিটব্যুরোতে সেভাবে কোনও দলিত প্রতিনিধি ছিলেন না। এবার পলিটব্যুরোতে দলিত নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করে এক ▨নতুন দিনের সূচনা করলেন সিপিএম নেতৃত্ব।
আর যেদিন তিনি রামচন্দ্র অন্তর্ভুক্ত হলেন পলিটব্যুরোতে ঘটনাচক্রে সেই রবিবার ছিল রামনবমী। সেদিনই সিপিএমের সর্বোচ্চ স্থানে আসীন হলেন বাংলার দ𒀰লিত নেতা। তবে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, এর সঙ্গে রামনবমীর কোনও যোগ নেই। নেহাতই কাকতালীয়। তবে সিপিএম নেতৃত্ব যাই বলুন, যাবতীয় হিসাব করেই যে রামচন্দ্রের অন্তর্ভুক্তি সেটা মানছেন দলের নীচুতলার কর্মীরা।
দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৯৯১ সালে প্রথমবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর টানা ৬বার তিনি ওই পদে নির্বাচিত হন। এরপর অজয়꧅ দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কিন্তু সিপিএমে পলিটব্যুরোতে ঠাঁই পাননি রামচন্দ্র। কার্যত ব্রাত্যই থেকে গিয়েছিলেন। সেই দলিত নেতার জন্য পলিটব্যুরোর দরজা খুলল সিপিএম।