মার্কিনি প্রাণিবিদ ওয়াল্টার নর্ম্🔯যান কোয়েলজ ১৯৫৩ সালে প্রথমবার এই বিরল পাখির কথা প্রকাশ্যে আনেন। যে পাখি পরিচিত মাউন্ট ভিক্টোরিয়া বাবাক্স নামে। দৃপ্ত চোখ, আকারে ছোট, খয়েরি রঙের তারতম্য রয়েছে শরীর জুড়ে। ভারতে ১৯৫৩ সালের পর এই পাখির প্রজাতির দেখা আর মেলেনি। এরপর ৬৮ বছর পর মিজোরামের পাহাড় থেকে ডাক দিয়ে এই পাখির প্রজাতি জানান দিয়েছে তাদের অস্তিত্বের। আর এই বিরল পাখি এই প্রথমবার ভারতে ক্যামেরা বন্দিও হল।
মিজোরামের দুটি বড় জাতীয় উদ্যানের মধ্যে একটি 'ফংপুই ন্যাশনাল পার্ক'। মিজেরামের লংগতলাই জেলার এই উদ্যান বহু দিনের। সেখানে নিত্য আসা যাওয়া♍ লেগে রয়েছে বহু পশু প্রাণি থেকে পাখির। মিজোরামের ফংপুই পাহাড়ের নামে এই পাহাড়ের নামকরণ। রাজ্যের সর্বোচ্চ পাহাড়ের শৃঙ্গ হিসাবে এটি পরিচিত। আর সেখানেই দেখা মিলেছে মাউন্ট ভিক্টোরিয়া বাবাক্সের। এই পাখিকে এর আগে, চিন-মায়ানমার সীমান্তের নাৎ মাতুং-এ দেখা গিয়েছে। তবে গত সাত দশকে ভিক্টোরিয়া বাবাক্সের দেখা পায়নি ভারত। এমনকি প্রথমবার যখন দেখা পাওয়াও গিয়েছিল, তখন তা ছবিতে বন্দি করা হয়নি। তবে এবার আর সুযোগ ফসকালো না! ভারতে প্রথমবার ক্যামেরা বন্দি হল এই পাখি। দিল্লির পাখিপ্রেমী পূজা শর্মা এই পাখিকে ক্যামেরা বন্দি করেছেন অ্যান্ড্রু স্পেনসরের সঙ্গে মিলে। এঁরা দুজনেই পাখির আওয়াজ রেকর্ড করেন। তাঁদের মতে , ভিক্টোরিয়া বাবাক্সের ডাক 'পুহ.. পু..ইয়াহ' ধরনের।
পূজা শর্মা বলছেন,'আমরা যখন নামার (পাহাড় থেকে) নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনই পাখির ডাক শুনতে পাই। আমরা কাছের গ্রামের দিকে নেমে যেতে চাইছিলাম।' ডাক শোনার পর 'সাউন্ড রেকর্ডিস💫্ট হিসাবে আমরা ডাকটার আরও কাছে যেতে চাইছিলাম। আমরা পাখির গানের ভোকালাইজেশন রেকর্ড করছিলাম। শেষমেশ আমরা খুঁজে পেলাম পাখিটিকে। একটা ওক গাছ থেকে গান গাইছিল। এরপর তার থবি ও ভিডিয়ো করতেই এই পাখি দেখার নিশ্চিত প্রমাণ আমরা হাতে পেয়ে যাই।' উল্লেখ্য, মা♛উন্ট ভিক্টোরিয়া বাবাক্স লোহিংথ্রাস প্রজাতির অন্তর্গত। ভারতে যে ২০ টি বিরল প্রজাতির পাখি রয়েছে, তারমধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে মাউন্ট ভিক্টোরিয়া বাবাক্স। মিজোরাম, চিন, মায়ানমারের খুবই নির্দিষ্ট এলাকায়ই পাখির দেখা মেলে। পাখি বিশেষজ্ঞ আনওয়ারউদ্দিন চৌধুরি বলছেন, 'প্রথমবার ভারতে এর ছবি প্রমাণ হিসাবে থাকাটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।'