শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর। সেই তারিখ আর পিছোয়নি আরবিআই (locker agreement last date)। তাই এবার ফ্যাসাদে পড়তে পারেন অনেক গ্রাহকরা। বর্তমানে কী পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক? তার একটি হিসেবও মিলেছে। মোটের উপর ১০ থেকে ২০ শতাংশ গ্রাহক ♊এখনও নতুন এগ্রিমেন্টে সই করেননি। যার ফলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
(আরও পড়ুন: ১০০ বিলিয়ন ডলার ‘ক্লাবে’ বিশ্বের প্রথম নারী তিনি! চম💯কে দেবে ফ্রাঁঙ্কোয়িসের পরিচয়)
- কোন ব্যাঙ্কে কত শতাংশ বাকি
একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক তাদের লকার চুক্তি ডিজিটালি সই করানোর ব্যবস্থা করꦍেছে। এতে ই-স্ট্য়াম্প ও ই-সাইনের ব্যবস্থা থাকছে। তবে অনলা🍸ইন ব্যবস্থা কিছু সমস্যা হচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের এক মুখপাত্রের দাবি, তাদের ব্যাঙ্কের ৮০ শতাংশ গ্রাহক আরবিআই-এর নতুন লকার এগ্রিমেন্টে সই করে নিয়েছে। যদিও ব্যাঙ্কে এর জন্য কোনও ডিজিটাল ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অন্যদিকে কানাড়া ব্যাঙ্কের দাবি, তাদের ৯০ শতাংশ গ্রাহক এই এগ্রিমেন্ট সই করেছেন। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অব বরোদার ৮১ শতাংশ গ্রাহকরা এটি সই করেছেন বলে জা🌊না গিয়েছে।&nbs💖p;
(আরও পড়ুন: ফের বাড়ল🎀 তেলের দাম! লোহিত সাগরের ভয় কাটলেও বাজারে যুদ্ধের জের)
- কী বলছে ব্যাঙ্কগুলি
এখনও নতুন ডেডলাইন না জানায়নি আরবিআই। তাই সমস্যার আশঙ্কা বাড়ছে। তবে একইসঙ্গে বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক অধিকর্তাই ব্যাঙ্কের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন। যেমন একটা দাবি, বেশিরভাগ চুক্তি বদলানো হয়নি। তাই নতুন করে অনেকেই আপডেট করেননি এই চুক্তি। অন্যদিকে লকার গ্রাহকদের একটি বড় অংশ সিনিয়র সিটিজেন। তাদের পক্ষে ব্যাঙ্কে এসে সই করে যওাওয়া মুশকিল। তাই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজটি করিয়ে আনার কথা ভাবছে অনেক ব্যাঙ্ক।
- হঠাৎ কেন নতুন চুক্তি
২০২১ সালেই এই চুক্তির কথা ভেবেছিল আরবিআই। এর নেপথ্যে ছিল একটা মামলা। মামলায় ব্যাঙ্কগুলির দায়দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। লকারে রাখা জিনিসগুলির দায় কতটা ব্যাঙ্কের, সেই নিয়েই মামলা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, লকারে রাখা জিনিসগুলির জন্য যে♐ বার্ষিক অর্থ ব্যাঙ্ককে দিতে হয়, তার ১০০ গুণ অর্থমূল্য পর্যন্ত দায় ব্যাঙ্ক নেবে। সেই মোতাবেক তৈরি করা হয়েছিল নতুন চুক্তি। যা সই করার শেষ তারিখ ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস। স্ট্যাম্প পেপারের আকালে সেই তারিখ পিছনো হয়েছিল।