কাতারের জেলে বন্দি নেভির অবসরপ্রাপ্ত সাতজনই জানতেই না যে তাঁ﷽দের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সোর্স মারফৎ খবর এনডিটিভির কাছে। আগের রাতে জেলের আধিকারিক তাঁদের গিয়ে বলেছিলেন, আপনারা আপনাদের জিনিসপত্র সব প্য়াক করে ফেলুন। এরপর সকাল ৯টা নাগাদ( স্থানীয় সময়) তাঁদের অপেক্ষা করার জন্য় বলা হয়েছিল। এরপর তাদের প্রথম দূতাবাস, সেখান থেকে তাদের বিমানে চাপিয়ে সোজা দিল্লিতে।
এদিক🐓ে গত অক্টোবর মাসে কাতারের একটা আদালত আটজনকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। তার মধ্য়ে এই সাতজনও ছিলেন। এরপর গত ডিসেম্বর মাসে এই নির্দেশকে স্থগিত রাখা হ𒆙য়।
নেভির যে অবসরপ্রাপ্তরা কাতারে বন্দি ছিলেন তারা হলেন, ক্যাপ্টেন নভত🦩েজ সিং গিল, ক্য়াপ্টেন সৌরভ🍒 বশিষ্ট, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা, কমান্ডার অমিত নাগপাল, নাবিক রাগেশ। ২০২২ সালের তাদের কাতারে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর থেকে তারা জেলেই ছিলেন।
এদিকে তাদের গ্রেফতার হওয়ার আগে তারা কাতার নেভির প্রশিক্ষণ দিতেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তারা গুপ্তচর হিসাবে কাজ করছিলেন। তবে দিল্লি বা দোহা এনিয়ে কোন💟ও মন্তব্য করছিল না।
মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আট 🗹অফিসারকেই মুক্তি দিয়েছে কাতার। তাঁদের মধ্যে সাতজন ইতিমধ্যে ভারতে ফিরে এসেছেন বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। সোমবার রাতের দিকে (ইংরেজি মতে) ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দাহরা গ্লোবাল কোম্পানির হয়ে কাজ করা আটজন ভারতীয়কে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত সরকার। যাঁদের কাতারে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সাতজন ভারতে ফিরে এসেছেন। এই নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া এবং তাঁদের ঘরে ফেরানোর জন্য কাতারের আমির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার প্রশংসা করছি আমরা।’
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সহায়তায় মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছিলেন ভাꦜরতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন অফিসার। যে আবেদনের ভিত্তিতে ডিসেম্বরের শেষের দিকে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করে দেয় কাতারের আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয় কারাদণ্ডের। তবে সেখানেই থেমে যাননি জয়শংকররা। ভারতীয় নৌসেনার আট প্রাক্তন অফিসারকে দেশে ফেরানোর জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করতে থাকেন।
তবে এই মুক্তির পেছনে যাঁর অন্য়তম বড় ভূমিকা ছিল তিনি আর কেউ নন জাতীয়ꦗ সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনা আটজন প্রাক্তন অফিসারকে যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে ডোভালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনার আটজন প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যেখানে একটা দিক সামলাচ্ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, তখন অন্যদিকে ‘সিক্রেট ওয়েপন’ ডোভালকে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোদী। কূটনৈতিক পথে আলোচনা চালাচ্ছিলেন জয়শংকর। আরও খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাতারের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মোদীর ডোভাল। সেজন্য একাধিকবার দোহায় গিয়েছিলেন। সেটা অবশ্য কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি প্রাক্তন ‘স্পাই’ বা গুপ্তচর। কোনওরকম হইচই ছাড়াই ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলেন।