ত্রিপুরার আগরতলার চৌমোহানি পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে প্রায় ৪০ ফুট লম্বা ৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ🏅ের স্মৃতিস্মারক। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা ও প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে প্রতিবাদের ঝড়। একাধিক রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই এই কাজের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই স্মারকটিকে 🌠পুনরায় ওই জায়গায় স্থাপন করার দাবিও তোলা হয়েছে।
সিপিএম প্রভাবিত একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনে🦹র একজন সদস্য বলেন, ‘আমাদের দাবি ওই যুদ্ধস্মারকটিকে ফের স্থাপন করতে হবে।আমাদের আশা সরকার এব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’ এদিকে বাংলাদেশের নাট্যকর্মী, সাহিত্য জগতের লোকজন, ঐতিহাসিক সহ যৌথভাবে এই কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশ। এটিকে এভাবে অবমাননা করা ঠিক নয়।’
যৌথভাবে তাঁরা জানিয়েছেন,' এটি দুদেশের মধ্যে বন্ধনের একটি প্রতীক ছিল। সেটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা ভারতের কাছে অনুরোধ করছি, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে বজায় রাখার জন্য এটিকে আগের জায়গায় স্থাপন করা হোক।' বাম আহ্বায়ক বিজন ধর বলেন, ‘সরকারের এই কাজের নিন্দা আমরা করছি। এটির সঙ্গে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে এটিকে সরিয়ে ফেলা ঠিক হয়নি। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ কংগ্রেসও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে বিজেপি মুখমাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের সরকার স্মারকগুলিতে সংরক্ষণ করতে চাইছে। সেকারণেই অ্যালবার্ট এক্কা মেমোরিয়াল🍨 পার্কে এটিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ’