মার্চের তুলনায় খুচরো বাজারে কমল মুদ্রাস্ফীতির হার। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার মার্চে যেখানে ছিল ৫.৫২ শতাংশ, সেখানে এপ্রিলে সেখানে সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.২৯ শতাংশ। মূলত খাদ্যের দাম কমে যাওয়ায় মূলত মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খুচরো বাজারে খাদ্যশস্যের মুদ্রাস্ফীতির হার গত মাসের তুলনায় অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার তুলনায় কমেছে। গত মার্চ মাসে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ, সেখানে এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২.০২ শতাংশ।আইসিআরএ–এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, গত বছর যখন দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হয়েছিল। পণ্য জোগান ঠিকমতো হচ্ছিল না। কিন্তু এই বছর এপ্রিলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, খাদ্যশস্যে মুদ্রাস্ফীতির হার গত তিন মাসের নিরিখে অনেকটাই কম। যেহেতু দেশজুড়ে লকডাউন হয়নি, সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে লকডাউন হয়েছে, তাই খাদ্যশস্যের সরবরাহে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। ফলে দামের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক কোনও প্রভাব পড়েনি।