কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের দু'লাখ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করবে কেন্দ্র। এর ফলে মৎস্যজীবী, প্রাণীসম্পদ সম্পদ কাজের জড়িত ব্যক্তিরা-সহ দেশের ২.৫ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন🎃্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের অন্তর্গত ২০ লাখ কোটি টাকার যে নয়া আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেটির দ্বিতীয় অংশের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সাংবাদিক বৈঠকে সীতারামন জানান, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ উপভোক্তােদের দু'লাখ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। বাজারে যে সুদের হার, তার থেকে কম সুদে সেই ঋ𒊎ণ মিলবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এই ঘোষণার ফলে কৃষকরা কম হারে প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ পাবেন। মৎস্যজীবী এবং প্রাণীসম্পদ সম্পদ চাষিদেরও এই প্রক্রিয়ায় সামিল করা হবে।'
পাশাপাশি সীতারামন জানান, করোনার সংকটের কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। সেজন্য নাবার্ড বাড়তি ৩০,০০০ কোটি টাকা দেবে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ চলতি বছরে নার্বাড এমনিতে যে ৯০,০০০ টাকা কোটি দিয়েছে, তার থে🌠কে আলাদাভাবেই ৩০,০০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। সীতারামন বলেন, গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্ক এবং আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বা রিজিওনাল রুরাল ব্যাঙ্কের শস্য ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি ৩০,০০০ কোটি টাকা দেবে নাবার্ড। এটা রবি শস্য রোপণের পরবর্তী সময় এবং মে বা জুনে খারিফ শস্যের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
পাশাপাশি আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে 'কম্পেনসেটরি অ্যাফরেস্টেশন অ্যাক্ট, ২০১৬'-এর অধীনে CAMPA গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, CAMPA-র আওতায় বৃক্ষরোপণ, ভূমি সংরক্ষণ, বনরক্ষার মতো কাজের জন্য সেই অর্থ ব্যবহার করবে রাজ্য সরকারগুলি। তিনি দাবি করেন, ‘কে🀅ন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে শহর, শহরাঞ্চল এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান তৈরি করবে। বিশেষত আদিবাসীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে।’