২০১৯ সালের মে মাস। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্শিতে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দিনটার কথা মনে পড়ছে? রাষ্꧙ট্রপতি ভবনের সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা। সেই অনুষ্ঠানে মোবাইল টয়লেট, লাইট, সাউন্ড সিস্টেম, ফুল দিয়ে সাজানো এসব মিলিয়ে কত খরচ হতে পারে? এনিয়েই জানতে চেয়ে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট অনুসারে আবেদন করেছিলেন আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট টি নরসিমা মুর্তি। বহু পথ ঘুরে তিনি উ꧅ত্তর পেয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর তিনি জানতে চেয়েছিলেন তার সবটা তিনি পাননি। তাঁকে জানানো হয়েছে ৭৩ লক্ষ টাকা ওই সমস্ত খাতে খরচ করা হয়েছিল।
আর এই উত্তরটা পেতে তাঁকে কার্যত বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। ২০১৯ সালের ৩০শে মে তিনি প্রথম আরটিআই ফাইল করেন। তিনি গোটা অনুষ্ঠানের খাওয়া দাওয়া থেকে বিদেশি অভ্যাগতদের বিমান ভাড়া সব জানতে চেয়েছিলেন। এরপর তাঁর সেই প্রশ্ন প্রেসিডেন্টের সচিবালয়, প্রেসিডেন্টের এস্টেট ডিভিশন, পূর্ত দফতরের উদ্যানপালন বিভাগেও পাঠানো হয়। এরপর ২০১৯ সালের 🐽৫ই জুলাই প্রেসিডেন্টের সচিবালয় থেকে তাঁকে জানানো হয়, ওই কর্মসূচিতে কোনও আলাদা অ্যাকাউন্ট ছিল না।
ওই বছরের জুলাই মা🅠সে ফের লেখালেখি শুরু🃏 করেন তিনি। এরপর ৮ অগস্ট তিনি মোবাইল টয়লেটের খরচ জানতে পারেন। ফের তিনি সব হিসাব জানতে চান। এরপর গত বছর ডিসেম্বর মাসে তাঁকে জানানো হয় মোবাইল টয়লেট, লাইট, সাউন্ড ও ফুল দিয়ে সাজানো বাবদ মোট খরচ হয়েছিল ৭৩,১৫, ৫০৫ টাকা। এর মধ্যে টয়লেটে ৩২,১১,৯৫৩টাকা, ১১,৭৯,৭৫০ টাকা অস্থায়ী আলোতে, ১৮,৬৩, ৭৪৪ টাকা সাউন্ড সিস্টেমে ও ১০,৬০,০৫৮ টাকা ফুল ও গাছ দিয়ে সাজানোতে খরচ হয়েছিল। তবে হাল না ছেড়ে এখনও পুরো খরচ জানার জন্য চিঠি চাপাটি পাঠাচ্ছেন ওই ব্যক্তি।