ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তের ডোনেৎস্কে শেলিংয়ে জখম হলেন রাশিয়ার প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন। উল্লেখ্য, ডোনেৎস্ক বর্তমানে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদ🅰িমির পুতিনের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত রোগোজিন রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার প্রধানের পদেও দায়িত্ব সামলেছেন। রোগোজিন দাবি করেন, ডোনেৎস্কের এক হোটেলে বৈঠক করার সময় গোলাবর্ষণ হয়। ইউক্রেন সেনাবাহিনী এই শেলিং চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম হয়েছেন মস্কো স্বীকৃত ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধান প্রশাসক ভিটালি খোতসেনকো। এর দুই দিন আগেই খেরসনের এক গ্রামে ইউক্রেন সেনার আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ল𝄹িউবিমিভকা অঞ্চলের প্রধান আন্দ্রেই শ্তেপা। রাশিয়াই আন্দ্রেই শেপ্তাকে সেই পদে বসিয়েছিল।
দিমিত্রি রোগোজিন বলেছেন যে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি আহত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেই তাঁর বিষয়ে বিশদ ফাঁস করে দেয়। এর জেরেই ডোনেৎস্কের উপকণ্ঠে শেশ-বেশ হোটেলে ডিনার করার সময় হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর সহযোগী রাশিয়ান মিডিয়াকে বলেছেন যে নির্দিষ্ট ভাবে হোটেলটি লক্ষ্য করেই গোলাবর্ষণ করা হ🧜য়েছিল। সম্ভবত একটি ফরাসি হাউইৎজার ব্যবহার করে এই গোলাবর্ষণ করা হয়েছিল দাবি করা হয় রাশিয়ান মিডিয়ার প্রতিবেদনে। রোগোজিন বলেন, 'আমি ওখানে বৈঠক করেছিলাম। আমি এখানে বেশ কয়েক মাস ধরেই আছি। এর আগে শত্রুপক্ষ (ইউক্রেন সেনা) কখনও এখানে হামলা চালায়নি।' রোগোজিন জানান, তাঁর ডান কাঁধে একটি লোহার টুকরো ঢুকে গিয়েছে এই গোলাবর্ষণের জেরে। তিনি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে থাকা আরও অনেকে এই হামলায় জখম হয়েছেন। প্রসঙ্গত রোগোজিন পশ্চিমী বিশ্ব বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকেও সমর্থন করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। ডনবাস অঞ্চলের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক দখল করে নেয় রাশিয়া। ইউক্রেনের আরও বহু এলাকা রাশিয়ার দখলে চলে যায় এরপরে। রাশিয়ার গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেন। তবে ধীরে ধীরে রাশিয়ার দখল থেকে সেই সব অঞ্চলকে মুক্ত করছে ইউক্রেন। বেলারুশ থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকেও অগ্রসর হয়েছিল রুশ সেনা। তবে কিয়েভ দখল করতে পারেনি রাশিয়া। পরে ক্রাইমিয়া থেকে ওডেসার ওপরও হামলা চালায় রাশিয়া। আমেরিকা সহ ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি ইউক্র🌳েনকে ক্রমাগত অস্ত্র সরবরাহ করে সাহা🏅য্য করে চলেছে। এই আবহে রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে কড়া টক্কর দিচ্ছে ইউক্রেন। দেখতে দেখতে যুদ্ধের প্রায় ১০ মাস কেটে গেলও যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।