সস্তায় তেল কেনার যে প্রস্তাব দিয়েছিল রাশিয়া, তা গ্রহণ করতে পারে ভারত। দুই ভারতীয় আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানাল সংবাদসংস্থা রয়টার্স। তবে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের ফলেꩲ পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গে মস্কোর যে রেষারেষি শুরু হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে কত ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে ওই আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করেননি বলে জানিয়েছে ওই সংবাদসংস্থা।
🥂সম্প্রতি মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার থেকে যতটা দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব, ভারতকে ততটা দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত যে মস্কোর উপর অনেকটা নির্ভরশীল, সেই বিষয়টিও মেনে নিয়েছে আমেরিকা। এক ভারতীয় আধিকারিককে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের যে অবস্থান, সে বিষয়ে ভালোভাবেই অবহিত পশ্চিমী দুনিয়া।
✤এমনিতে ৮০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। মাত্র দুই থেকে তিন শতাংশ তেলের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল থাকে নয়াদিল্লি। কিন্তু চলতি বছর বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম (৪০ শতাংশ) বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। যা ভারতের কোষাগারের উপর থেকে চাপ কমিয়ে দেবে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক বলেছেন যে ‘বড়সড় ছাড় দিয়ে তেল এবং অন্যান্য সামগ্রী দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে রাশিয়া। আমরা সেটা গ্রহণ করতে আনন্দিত বোধ করব।’
🤡রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ভারতের অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তারইমধ্যে সোমবার একটি সেমিনারে রাশিয়ায় প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বালা বেঙ্কটেশ বর্মা জানান, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে যে রেষারেষি চলছে, তার মূল্য ভারত চোকাবে - এমনটা আশা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘এই লড়াইটা আমরা তৈরি করিনি।’