বছরছয়েক আগে তার মগজধোলাই করেছিল রিয়াজ নাইকু। আর নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে সেই নাইকু খতম হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিনের নতুন মুখ হচ্ছে সইফুল🌄্লা মির ওরফে গাজি হায়দার (২৬)। রবিꦆবার সন্ধ্যায় একথা জানিয়েছেন এক উচ্চপদস্থ সুরক্ষা আধিকারিক।
তিনি জানিয়েছেন, উপত্যকায় হিজবুলের প্রধান হিসেবে সই🧸ফুল্লাহকে বেছে নিয়েছে সেলিম হাশমি। যে জঙ্গি সংগঠনের সদর দফতর পাকিস্তান অধিকৃত মুজফ্ফরাবাদে অবস্থিত। এছাড়াও জাফারুল ইসলামকে জম্মু ও কাশ্মীরের ডেপুটি চিফ অপারেশনাল কম্যান্ডার করেছে হিজবুলের মুখপাত্র সেলিম। আবু তারিক ভাই নামে এক জঙ্গিকে তার চিফ মিলিটার অ্যাডভাইজার হিসেবে নির্♑বাচন করা হয়েছে।
গত ৬ মে নাইকু ও তার সঙ্গী🎉 আদিল আহমেদকে একটি যৌথ অভিযানে খতম করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ২১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। নাইকু নিজের গ্রামের একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। যা উপত্যকায় বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বাহিনীর শ🐟ীর্ষ কর্তারা।
✅এই পরিস্থিতিতে সইফুল্লাকে উপত্যকায় হিজবুলের মাথায় বসানো হয়েছে। যে মুসেব ও ‘ডক্টর সইফ’ নামে পরিচিত। কারণ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আহত জঙ্গিদের চিকিৎসা করতে সে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার মালাঙ্গপোরার সইফুল্লা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। তারপর ভোকেশনাল ট্রেনিং নিয়েছিল। নিরাপত্তা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পুলওয়ামায় সরকারি আইটিআই-তে সুযোগ পেয়েছিল সইফুল্লা। তারপর শ্রীনগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেছিল। তিন বছর চাকরির পর ২০১৪ সালে নাইকুর সংস্পর্শে এসেছিল সইফুল্লা। নাইকুর হাত ধরে সন্ত্রাসবাদে হাতেখড়ি হয় তার। যোগ দেয় হিজবুলে।
নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রথম সারির (এ ক্যাটেগরি) জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত সইফুল্লা। মূ🐻লত দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা, কুলগাম এবং শোপিয়ান জেলায় সে সক্রিয় ছিল। নাইকুর পুরো নেটওয়ার্কও সইফুল্লার নখদর্পণে বলে খবর। একইসঙ্গে বাগান মালিকদের লুঠ এবং দক্ষিণ কাশ্মীরে বেআইনি আফিম চাষের মাধ্যমে অর্থ জোগাড়ের নেটওয়ার্কের বিষয়ে সে অবহিত।
কাশ্মীরের পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি মাদকের চোরাচালানেও যুক্ত রয়েছে হিজবুল। সম্প্রতি তদন্তকারীরা হিজবুলকে অর্থ প্রদানকারী একটি মডিউলের খোঁজ পেয়েছেন। গত ২৫ এপ্রিল অমৃতসরে ২৯ লাখ নগদ-সহ পঞ্জাব পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে অবন্তীপোরার নওগামের বাসিন্দা হিলাল আহমেদ ওয়াগে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) তরফে বলা হয়েছে, ‘হিজবুল মুজাহিদিনের চিফ অপারেশন কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুর (এখন মৃত) হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কাশ্মীর উপত্যকায় সেই টাকা পাঠানো 𝓀হচ্ছিল। বিষয়টি এখন এনআইএ দেখছে।