সুদানের গৃহযুদ্ধে বলি হতে হতে বাঁচলেন শতাধিক সাধারণ মানুষ। সেদেশে সেনা বনাম আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের যেরে গুলিবিদ্ধ হল সৌদি এয়ারওয়েজের এয়ারবার এ৩৩০ বিমান। বিমানটি সুদানের খারতুম থেকে উড়ে সৌদিতে যাওয়ার কথা ছিল। টেকঅফের সময়ই বিমানটি গুলিবিদ্ধ হয় বলে📖 জানা যায়। এদিকে বিমানে গুলি লাগলেও কোনও যাত্রী বা বিমানকর্মী জখম হননি বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি শনিবার ঘটেছে। খারতুম বিমানবন্দর থেকে বিমানটি রিয়াদের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে প্রবল গোলাবর্ষণের সম্মুখীন হয়। বিমানে গুলি লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানটি।
পরে সৌদি এয়ারওয়েজের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বিমা🤡নের ওপর গোলাগুলির ঘটনাটা নিশ্চিত করে। ঘটনার পর সেই বিমানে থাকা কেবিন ক্রু সদস্যদের সুদানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা সকলে নিরাপদে আছেন বলে জানা গিয়েছে। এ♓দিকে এই ঘটনার পর সুদানের আকাশসীমায় থাকা সৌদি এয়ারওয়েজের বিমানকে রিয়াদে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আপাতত সুদান থেকে সব উড়ান বাতিল করেছে সৌদি। তাছাড়া সুদানের উদ্দেশেও যাবতীয় উড়ান বাতিল করা হয়েছে বিমান সংস্থার তরফে।
উল্লেখ্য, শনিবার সুদানে সেনার༒ সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে সেদেশের আধাসামরিক বাহিনীর। এই সংঘর্ষে গতকাল পর্যন্ত তিনজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের চিকিৎসক ইউনিয়ন। খারতুম বিমানবন্দরেও এক সাধারণ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গৃহযুদ্ধের মাঝে আধা সামরিক বাহিনী দাবি করে, বিমানবন্দর এবং রাষ্ট্রপতি ভবন দখল করেছে তারা। যদিও সেনা সেই দাবি নাকচ করে দেয়। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের মূলে রয়েছে সামরিক নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং তাঁর অধীনস্থ আধাসামরিক কমান্ডার মহম্মদ হামদান দাগলোর বিবাদ। আধাসামরিক বাহিনীর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সকে (আরএসএফ) সেনার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া নিয়ে এই বিবাদ শুরু হয় বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে। সেই বিবাদের জেরেই শনিবার থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে বন্দুকꦫ তুলে নিয়েছে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই এই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশের তালিতায় স্থান করে নিয়েছে সুদান। তবে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ফেরানোর লক্ষ্যে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার অংশ হিসেবেই সেনার সঙ্গে মিꦏশে যেতে চলেছিল আধাসামরিক বাহিনীর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স। তবে সেই সংযুক্তিকরণে না খুশ আধাসামরিক বাহিনীর কমান্ডার মহম্মদ হামদান দাগলো। এই পরিস্থিতিতে সুদানে অবস্থিত প্রায় সকল দেশের দূতাবাসই তাদ🃏ের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং বাইরে বেরোতে বারণ করেছে।