মহাকাশে বিগ ব্যাং-এর পরে সবচেয়ে বড় মাপের মহাজাগতিক বিস্ফোরণের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, কোটি কোটি🧜 আলোকবর্ষ আগে এক নক্ষত্রমণ্ডলীর কেন্দ্রে কৃষ্ণগহ্বর সৃষ্টি হওয়ার জেরেই মহাকাশে ওই তীব্রতম বিস্ফোরণ ঘটে।
বিজ্ঞানীরা হিসেব কষে দেখেছেন, বিস্ফোরণের জের𒀰ে উত্পন্ন হয়েছে আগের রেকর্ডের চ𒅌েয়ে ৫ গুণ বেশি শক্তি।
কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর রেডিও অ্যাস্ট্রনমি রিসার্চ-এর কর্তা অধ্যাপক মেলানি জনসন-হোলিট জানিয়েছেন, বিস্ফোরণটি অসাধারণ শক্তিধর ছিল। তাঁর মতে, ‘আমরা জানি না কী কা✃রণে বিস্ফোরণটি অত বিশাল আকার ধারণ করেছিল, তবে তা ঘটেছে অত্যন্ত ধীর গতিতে- অনেকটা স্লো মোশনে বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখার মতো। কোটি কোটি বছর ধরে ঘটেছে এই বিস্ফোরণ।’
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী থ💦েকে প্রায় ৩৯ কোটি আলোকবর্ষ দূরে ওফিউকাস নক্ষত্রমণ্ডলে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কৃষ্ণগহ্বরকে ঘিরে থাকা ক্লাস্টার প্লাজমা বা অতি-উষ্ণ গ্যাসের বলয়ে গহ্বর সৃষ্টি হয়ে যায়।
গবেষণাপত্রচির প্রধান রচয়িতা আমেরিকার ন্যাভাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী সিমোনা গিয়াসিনতুচ্চি জানিয়েছেন, মহাজাগতিক বিস্ফোরণের প্রকৃতি ছিল অনেকটা ১৯৮০ সালে মাউন্ট সেন্ট হ🥃েলেন’স-এর বিস্ফোরণের মতো, যা🃏 পাহাড়ের শিখর উপড়ে দিয়েছিল। তবে তাঁর মতে, ‘তখাত্ হল, মহাজাগতিক বিস্ফোরণের জেরে ক্লাস্টার প্লাজমায় যে গহ্বর সৃষ্টি হয়েছিল, তার ভিতরে অনায়াসে পর পর ১৫টি নক্ষত্রমণ্ডলী ঢুকে যেতে পারে।’
ঘটনা হল, গহ্বরের আকার দেখে প্রথমে তা বিস্ফোরণের জেরে𒈔 হয়েছে বলে মানতে চাননি বিজ্ঞানীরা, কারণ সে ক্ষেত্রে বিস্ফোরণের তীব্রতা অবিশ্বাস্য রকমের বিশা✨ল বলে বিশ্বাস করতে হয়। সিমোনা জানিয়েছেন, কার্যক্ষেত্রে তেমনই বিশাল আকৃতি ছিল এই মহাজাগতিক বিস্ফোরণ।
নাসার গডার্ড মহাকাশ উড়ান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী তথা গবেষণাপত্রের সহ-রচয়িতা ম্যাক্সিম মার্কেভিচ জানিয়েছেন, রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে ওফিউকাস নক্ষত্রমণ্ডলে নজর রাখার সময়েই বোঝা যায়, সে♚খানে অতি-বৃহত্ আকারের এক বিস্ফোরণ ঘটেছে। নাসার মোট ৪টি রেডিও𒈔 টেলিস্কোপের সাহায্যে বিস্ফোরণটি ব্যাপ্তির আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।