শপিং মল নাকি পতিতালয়! তা নিয়ে সংশয় হতেই পারে। গাজিয়াবাদের প্য়াসিফিক মলে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। আটটি স্পা সেন্টারের মধ্যে ৭টি সেন্টারের ম্যানেজারকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ স্পা সেন্টারের আড়ালে চলছে একেবারে খুল্লমখুল্লা যৌনতা। লিঙ্ক রোড পুলিশ স্টেশনে অন্তত ৫০জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১১জন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মহারাজপুর সীমান্ত এলাকায় এই মলটি রয়েছে। সেখানে গজিয়ে উঠেছে একের পর এক স্পা ও ম্য়াসাজ সেন্টার। স্পট থেকে ৯৯জনকে গ্রেফতার করা হয়। বেশিরভাগই দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ থেকে এসেছেন। নৈনিতালের এক বাসিন্দাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। যৌন কারবার চালানোর অভিযোগে পুলিশ সাতজন ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে। একেবারে আকর্ষণীয় নাম এই স্পাগুলির। কোনওটির নাম রাজ, সাধিকা, হেভেন, অ্যারোমা, আরমান আরও কত কী। আলো ঝলমলে চারদিক। আর তার আড়ালে চলছিল পতিতালয়। সেখান থেকে অন্তত ৬০জন মহিলা ও ৩৯জন পুরুষ ছিলেন। তবে পরে ৩২জন পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়। ৫৮জন মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে স্পা সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ১১জন গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে স্পায়ের ভেতর থেকে প্রচুর আপত্তিকর জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সেগুলি খতিয়ে দেখছে। তবে এবার স্পায়ের কাজকর্ম নিয়ে নিয়মিত নজরদারি করা হবে। স্পা সেন্টারগুলিতে ও ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে আসলে কী ধরনের অবৈধ কাজকর্ম করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই সেন্টারগুলি থেকে প্রচুর মোবাইল, রেজিস্টার সহ নানা ধরনের জিনিস পুলিশ পেয়েছে। এগুলি দিয়ে গোটা কারবারকে নিয়ন্ত্রণ করা হত। সূত্রের খবর, ফোন করেও এখানে ডাকা হত। প্রচুর পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল শপিং মলটিকে। এরপরে চলে অভিযান। প্রচুর তরুণ, তরুণী ওই স্পা সেন্টারগুলিতে ছিলেন। তাদের আটক করে পুলিশের বাসে তোলা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চলে। এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup