সুতীর্থ পত্রবনবীশ
আর্থিক হাব হিসাবে পরিচিত সাংহাইতে দিনে দিনে বাড়ছে কোভিড। ওমিক্রন নির্ভর নয়া স্রোতের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে শহর রয়েছে বিধির আও🀅তায়। ক্রমাগত বেড়ে চলা লকডাউনে নাগরিকদের মধ্যে ক্রমেই জমাট বাঁধছে ক্ষোভ। এদিকে, সেই ক্ষোভ জাহির করার যাবতীয় মাধ্যমে তথা সোশ্যাল মিডিয়ায় চিন সরকার 'সেন্সরশিপ' আরোপ করে রেখেছে। তবে নাগরিকদের সাম্প্র𒊎তিক ধৈর্যের বাঁধ এতটাই ভেঙেছে, যে তাঁরা এবার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছেন সেন্সরশিপের বিধিকেও।
আর সেই সেন্সরশিপের বিধি সরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে 'ভয়েস অফ এপ্রিল'। যে ভিডিয়োতে কার্যত সাংহাইতে বহুদিন ধরে চলা লকডাউন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানুষ। ছয় মিনিটের এই ভিডিয়ো তুলে ধরেছে সেখানের পরিস্থিতি। সেখানে 'হোয়াটসনওয়েইবো' নামের এক ওয়েবসাইটের মতে ডক্টর লি ওয়েনলিয়াংয়ের পর ' ভয়েস অফ এপ্রিল' সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়। চিনে এই বিষয়ে শুরু হয়েছে বহু আলোচনা। উল্লেখ্য, ডক্টর লি ওয়েনলিয়াং চিনের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। এই হইউসেল ব্লোয়ারকে পরে গ্রেফতার করা হয়। তা নিয়ে জিনপিং সরকারের বিরুদ্ধে সেই সময় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন চিনবাসী। সেই সময়কাল ছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি। আরও পড়ুন-দিল্লিতে প্রতি ১ জন কোভিড আক্রান্তের থেকে আরও ২ জন সংক্রমিত হচ্ছ🅰ে꧅ন! বলছে গবেষণা
এদিকে, 'ভয়েস অফ এপ্রিল' টুইটার, ইউটিউবে ভাইরাল হতে শুরু করেছে। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে সাংহাইয়ের আসল পরিস্থিতি কীরকম।🎉 নিজেদের কীভাবে ক্ষমতাহীন মনে করতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। এদিকে, 'গ্লোবাল টাইমস'এর প্রাক্তন সম্পাদক হু শিজিন বলছেন, চিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভাইরাল হলে সেই কনন্টেটের দর অনেক। কারণ, পশ্চিমী বিশ্বে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেবাবে সেন্সরশিপ নেই, কিন্তু চিনে তা আছে আর কনটেন্ট ডিলিট করা হয়, ফলে কোনও পোস্ট ভাইরাল হলে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়। প্রসঙ্গত, চিনে এই মুহূর্তে উপসর্গ যুক্তদের সংখ্যা ২৭৩৬, নতুন করে উপসর্গহীনদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০,৬৩৪ জন। এদিকে তারই মাঝে সাংহাই সরকার জানিয়েছে, যতক্ষণ না কোয়ারেন্টাইন এলাকার বাইরে নতুন কেস কমছে ততক্ষণ উঠবে না লকডাউন। এই মুহূর্তে সাংহাইতে কোভিডে মৃতের সংখ্যা এই সপ্তাহে ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।