বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে দিকে দিকে চলেছে তাণ্ডব-ভাঙচুর। হিন্দু, সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের বাড়িতে ভাঙচুর তো বটেই এমনকী রক্ষা পায়নি দেশের ভাস্কর্যগুলি। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি এবং স্মৃতিগুলিকে টার্গেট করে সেগুলিতে কার্যত ধ্বংসলীলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। মেহেরপুরের ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚমুক্তিযুদ্ধের মুজিবনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে কয়েকশো মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এবার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। একইসঙ্গে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়েও তিনি সরব হলেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র যে নির্দেশ দেবে সেভাবে চলব, বাংলাদেশে উꦑদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বললেন মমতা
বাং♈লাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পরেই মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই শহীদ স্মৃতিসৌধে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ৬০০ ভাস্কর্যের মধ্যে ভেঙে ফেলা হয় প্রায় ২০০ টি ভাস্কর্য। ওই দিন বিকেলে কয়েকশো যুবক রড, বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি নিয়ে স্মৃতি কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। প্রথম তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির মাথা ভেঙে ফেলে। তারপরে একে একে অন্যান্য ভাস্কর্যগুলিও ভেঙে ফেলে।
এনিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে তীব্র নিন্দা করে শশী থারুর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মুজিবনগরের ১৯৭১ সালের শহীদ স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সে ভারত বিরোধীরা যেভাবে ভাঙচুর করেছে তা দুঃখজনক। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মন্দির এবং হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, এমনকী মুসলিম নাগরিক ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বাড়ি এবং উপাসনালয়গুলিকে হামলা করা হয়েছে। তাতে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।’ এরপরেই বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের উদ্দেশ্যে জরুরি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন শশী থারুর। তিনি লিখেছেন, ‘ইউনুস ও তাঁর অন্তর্বর্তী সরকার সকল ধর্মের, সকল বাংলাদেশির স্বার্থে আইন ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ ক🎉রেছে। এই অস্থির সময়ে ভারতও বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, এ ধরনের নৈরাজ্যের বাড়াবাড়িকে কখনওই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ীജ, মুজিবনগর কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য হুমায়ুন আহমেদ জানান, প্রায় ৬০০ ছোট-বড় ভাস্কর্যের মধ্যে অধিকাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। পর্যটকদের কাছে এগুলি খুবই আকর্ষণীয় ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক এখানে আসতেন। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হয় সরকার। তারই স্মৃতি হিসেবে এখানে এই সৌধ তৈরি করা হয়েছিল।