শনিবার কলকাতা ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। এর পরের দিনই তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ থেকে তাঁকে আক্রমণ করে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি নেতারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আর এবার এই মন্তব্যের জন্য সৌগত রায়ের তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনা♋ওয়ালা।
আরও পড়ুন: শনিবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন সাধ্♌বী নিরঞ্জন, ধর্๊নার চাপে! দাবি অভিষেকের
কী বলেছেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র?
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো 🌠পোস্ট করে শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, ‘তৃণমূল এখন একটি অরাজকতার দলে পরিণত হয়েছে, যেখানে মহিলাদের সম্মান দেওয়া হয় না। সৌগত রায় নিরঞ্জন জ্যোতিকে নিয়ে যে শব্দচয়ন করেছেন সেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী এই অশালীন শব্দ প্রয়োগ মেনে নেবেন? তিনি কী কোনও ব্যবস্থা নেবেন না?’ তাঁর দাবি, শুধু সৌগত রায় নয়, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্রও বলেছেন, ‘সাধ্বীর মতো পাপী থাকলে আর কারও দরকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘বারবার মহিলাদের উপর আক্রমণ তৃণমূলের কা꧋লচারে পরিণত হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল মন্ত্রী অখিল গিরির রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূল সরকার এখন কাটমানি সরকারে পরিণত হয়েছে। সেই কারণে নিজেদের অপরাধ ঢাকতে তারা বারংবার মহিলাদের অসম্মান করছে। হিন্দুদের আস্থার উপর আক্রমণ করা তৃণমূলের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
কী বলেছিলেন সৌগত রায়?
সাধ্বী প্রসঙ্গে সৌগত বলেছিলেন, ‘ও ইংরেজিতে কোনও ফাইল সই করতে পারে না। ফাইল পড়তে পারে না। কোনও ফাইল ইংরেজিতে দিলে ওর সেক্রেটারিকে তা হিন্দিতে বুঝিয়ে দিতে হয়। এইসব কী মাল আমি জানি। এদের তো দেখছি।’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রতি এই মন্তব্যের পরেই সরব হয়ে ওঠে রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘সৌগত রায় একজন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত🍒্ব। তিনি রাজনৈতিক বিবেকবোধ হারিয়েছেন। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে তাঁর কী করে এই পরিণতি হল তা বোঝা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, সৌগত রায় প্রায়ই বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন। গত ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনা করার সময় বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খানকে আক্রমণ করেছিলেন। সৌমিত্রর উদ্দেশ্যে সৌগত মন্তব্য করেছিলেন, ‘ওর ডিভোর্স হয়ে গꩲিয়েছে, বউ পালিয়ে গিয়েছে। তাই ও পাগল হয়ে গিয়েছে।’