বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া নূর চৌধুরীকে দেখা গেল কানাডায়। দেশটির সরকারি সংবাদ মাধ্যমে সেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছে কানাডা। দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতিকে খুনে দোষী ༺সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন কানাডা সরকার অভিযুক্ত নূর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: ‘রক্ত যখন দিয়েছি…’, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক নিয়ে হাজ꧙ির শ্যাম বেনেগাল, কবে মুক্তি?
বঙ্গবন্ধু খুনির আত্মগোপন করে থাকার বিষয়টি একটি তদন্তমূলক প্র🍃তিবেদনে প্রচার করা হয়েছে কানাডার সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামে। শুক্রবার রাতে ৪২ মিনিটের প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, টরেন্টোর একটি ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরী ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং ফ্ল্যাট থেকে নিচে নেমে গাড়িতে চড়তেও তাকে দেখা যাচ্ছে। তবে সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই চলে যায় মুজিব খুনে অভিযুক্ত।জানা গিয়েছে, কানাডার ওই সরকারি সাংবাদ মাধ্যম অনেকদিন আগেই খবর পেয়েছিল মুজিবুর রহমানের খুনি নূর দেশটিতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এরপর তারা খোঁজ শুরু করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী নূর অটোবিকো এলাকায় থাকে। এটি টরেন্টো থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ওই এলাকার একটি বহুতলের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে থাকে সে। বঙ্গবন্ধু খুনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বাংলাদেশের আদালত। এই অবস্থায় তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য জাস্টিন ট্রুডো সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে হাসিনার সরকার। এদিকে, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার জানান, এ বিষয়ে আগে কানাডা সরকারকে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে আতꩵতায়ীরা গুলি করে হত্যা করে। মুজিবুর কন্যা শেখ হাসিনা ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। দীর্ঘদিন ধরে বিচার চলার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ৫ জনকে ২০১০ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়। একজন জিম্বাবোয়েতে একজন মারা যায় এবং ৬ জন পালিয়ে যায়। তারা হল– আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিন। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়। এদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় এবং এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছিল জাতীয♍় কেন্দ্রীয় ব্যুরো। ২০০৬ সালে নূরকে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল কানাডা সরকার। কিন্তু, তারপরেও কানাডায় থেকে যায় নূর।