শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় এবার একটি অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। আদালতে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ রাজ্যের তরফে আদালতে ছিলেন। তিনি শ্রদ্ধা ওয়াকারের একটি অডিও ক্লিপ আদালতে শোনান। শ্রদ্ধা ও আফতাবের সম্পর্ক যে কতটা বিষিয়ে উঠেছিল তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে সেই অডিও ক্লিপে।প্রসঙ্গত ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে নৃশংসভাবে খুন করেছিলেন তারই লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। দিল্লি আদালতে এবার সরকারি আইনজীবী শ্রদ্ধার সেই অডিওটি তুলে ধরেন।প্র্যাক্টো অ্যাপের মাধ্যমে সেই অডিও ক্লিপটি পাওয়া গিয়েছে। আসলে সেই অ্যাপের মাধ্যমে তিনি কোনও মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখানে শোনা যাচ্ছে শ্রদ্ধা বলছেন, যখনই রাগে আমি বকাবকি করতাম, তখন সে যেখানেই থাকুক এই শহরের যেখানেই থাকুক…সে আমাকে খুঁজে বের করবে, আমাকে খুন করার চেষ্টা করবে। এটাই সমস্যার….আমি জানি না কতবার সে আমাকে খুন করার চেষ্টা করেছে… এটা প্রথমবার নয়, যেভাবে সে আমার ঘাড় চেপে ধরত, আমি চোখে অন্ধকার দেখতাম। আমি ৩০ সেকেন্ড নিঃশ্বাস নিতে পারতাম না। কিন্তু পরে তার চুল টেনে ধরে কোনওরকমে রক্ষা পাই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই কোর্টে শোনানো ওই অডিও ক্লিপ অনুসারে এমনটাই জানিয়েছে।চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৮ মে আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল। এরপর তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে। এরপর দক্ষিণ দিল্লির ফ্ল্যাটে সে তার দেহকে ফ্রিজে ভরে রেখে দেয়। পরে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সে দেহাংশকে ছড়িয়ে ফেলে দেয়। পরে সেগুলির কিছু পাওয়া গিয়েছে।এদিকে সোমবার শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার আদালতে জানান ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই খুনের মামলার বিচার করা হোক। এভাবে দিনের পর দিন ধরে এটা ফেলে রাখা যায় না।তাঁর আইনজীবী সীমা খুশাওয়ালা জানিয়েছেন, শীঘ্রই দিল্লি হাইকোর্টে আমি পিটিশন জমা দেব যাতে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই শুনানি করা হয়।এদিকে শ্রদ্ধার বাবা জানিয়েছেন মেয়ের দেহের টুকরো আমি এখনও পাইনি। কারণ সেগুলো প্রমাণ হিসাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। সেকারণে আমি মেয়ের শেষ কাজটুকুও করতে পারছি না। সেই শেষ কাজ করার জন্য় আমি কবে মেয়ের দেহাংশ পাব? এদিকে আদালতে মেয়ের গলার আওয়াজ পেতেই কাঁপতে শুরু করেন শ্রদ্ধার বাবা। আবেগে, দুঃখে তিনি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। গলার আওয়াজ পেতেই তিনি ভাবতে থাকেন হয়তো মেয়ে এখনও বেঁচে রয়েছে।