ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান গায়ক এপি ধিলোনের ভ্যানকুভারের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল গত ১ সেপ্টেম্বর। সেই ঘটনায় কানাডার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে গত ৩০ অক্টোবর। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই দাবি করা হয়েছে। এদিকে এই গুলি চালনার ঘটনায় আরও একজন অভিযুক্ত কানাডা ছেড়ে ভারতে পালিয়েছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এপি ধিলোনের বাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় ধৃত ব্যক্তির নাম অভিজিৎ কিংরা। আজ অভিজিৎকে আদালতে পেশ করবে কানাডার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় পতালক ব্যক্তির নাম বিক্রম শর্মা। বিক্রম ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেছে কানাডার পুলিশ। বিক্রম শর্মার নামেও জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। (আরও পড়ুন: মাসের শুরু লম্💫বা সরকারি ছুটি দিয়ে, দিওয়ালির জন্য ১-২ নভেম♏্বর কোথায় বন্ধ ব্যাঙ্ক?)
আরও পড়ুন: ট্রেনে সংরক্ষিত 🗹আসনের টিকিট কাটার নিয়ম বদল আজ থেকে, আর আগেই যাঁরা কেটেছিಞলেন...
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় গভীর রাতে গুলি চালানো হয়েছিল ধিলোনের কানাডার বাড়ির সামনে। ধিলোনের সেই বাড়ি কানাডার ভ্যানকুভারের ভিক্টোরিয়া আইসল্যান্ডে অবস্থিত। সেই সময় এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। খলিস্তানি ইস্যুর জেরেই দুই দেশের সম্পর্কে এই অবনতি। এই আবহে নাম জড়িয়েছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের। অভিযোগ করা হয়, ভারতীয় এজেন্টরা নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতেও এনিসিপি বিধায়ক বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর দায় স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং। সেই ঘটনায় একের পর এক গ্রেফতারি হয়। সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই নাকি বাবা সিদ্দিকির ওপর হামলা হয়েছিল। আর কানাডার গায়ক এপি ধিলোনের ওপরেও হামলা হয়েছিল সলমন খানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার জন্যেই। এমনই দাবি করেছিল বিষ্ণোই গ্যাং। (আরও পড়ুন: কলকাতায় ঘরোয়া গ্যাস সিলিন♋্ডার𝔉 কিনতে অনেকেরই ১৯.৫৭ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে?)
আর সম্প্রতি কানাডা অভিযোগ করেছিল, খলিস্তানিপন্থীদের ভারতীয় এজেন্টরা হেনস্থা করছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, সেই কাজের জন্য সংগঠ🐟িত অপরাধী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করেছে ভারতীয় এজেন্টরা। যদিও ভারত প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, ট্রুডো সরকার নিজের খলিস্তানি ভোটব্য়াঙ্ককে পকেটে রাখতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে। তবে এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাগরিকা ঘোষ প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, 'কেন ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকল? এই সবের মাঝে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভূমিকা কী?'