ভারত, পাকিস্তান, নেপাল-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পরিযায়ীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছ'জনকে খুন করল মেক্সিকোর সেনাবাহিনী! বুধবার মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে প্রকাশ করা রিপোর্টের ত♔থ্য অনুসারেই এই অভিযোগ উঠেছে।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আক্রান্ত পরিযায়ীরা একটি ট্রাকে সওয়ার ছিলেন। ꧒সেই সময়েই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। অভিযোগ করা হচ্ছে, তাতেই প্রাণ যায় ছয় পরিযায়ীর।
যদিও, মেক্সিকোর 🅺সেনাবাহিনীর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, গুলিচালনার আওয়াজ শুনেই তাদের তরফে পালটা গুলি চালানো হয়েছিল। সোমবার রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটেছিল হুইক্সটলার নিকটবর্তী চিপা🧜স এলাকায়।
সেনার দাবি, ওই এলাকা দিয়েই𝓀 একটি ট্রাক-সহ মোট তিনটি গাড়িতে পরিযায়ীরা সেনাবাহিনীর শিবিরের দিকে এগিয়ে 🍷আসেন। সেই সময়েই গুলির শব্দ শোনা যায়। জবাবে গুলি চালান কর্তব্যরত সেনাকর্মীরাও।
স▨ংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)-এর প্রকাশ করা খবরে জানানো হয়েছে, মেক্সিকো সেনাবাহিনীর দুই সদস্য সরাসরি পরিযায়ীদের ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি চালান। তার ফলে ঘটনাস্থলেই চার পরিযায়ীর মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন আরও ১২ জন। তাঁদের মধ্যে দু'জনের পরে মৃত্যু হয়। আহত বাকি ১০ জন কেমন আছেন, সেই বিষয়ে অবশ্য় নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
যদিও মেক্সিকো প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সরাসরি একথা স্বীকার করেনি যে সেনার ছোড়া গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে ওই ছয় পরিযায়ী মানুষের। এমনকী, পরিযꦛায়ীদের বাহনগুলি থেকে সত্যিই কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হ📖য়েছে কিনা, সেটাও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
তবে, ও🌠ই ট্রাকে আরও যে ১৭ জন পরিযায়ী ছিলেন, তাঁদের কোনও আঘাত লাগেনি বলে দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ওই ট্রাকে মোট ৩৩ জন পরিযায়ী ছিলেন।
উল্লেখ্য, যে এলাকায় এই হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি পাচারের রুট হিসাবে কুখ্যাত। মাঝেমধ্যেই সেখান ꦿদিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকে প্রচুর পরিমাণে পরিযায়ীদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাচার করা হয়। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, অমানবিক এবং বিপজ্জনকভাবে এই পাচার চলে।
মেক্সিকো প্রতিরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে দুই সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গুলি চালানো𝕴র অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। যত দিন তদন্ত চলছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা কাজে ফিরতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে।
মেক্সিকোর আইন অনুসারে, সাধারণ মানুষকে খুনের ঘটনায় দেওয়ানি আদালতে ফৌজদারি মামলা চালানো হয়💎। কিন্তু, সেই ঘটনায় যদি কোনও সেনা সদস্য জড়িত থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুসারেও পদক্ষেপ করা হতে পারে।
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হ⛦য়েছেন ইরিনেও মুজিকা নামে এক সমাজকর⛦্মী। যিনি পরিযায়ীদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
তাঁর দাবি, পরিযায়ীদের ট্রাক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে সেনার তরফে যে অভিযোগ করা হ🎉চ্ছে, তা কখনই সত্যি হতে প🦹ারে না। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেনার এই সদস্যরাই ঘুষ নিয়ে পরিযায়ীদের নিরাপদে সীমান্ত পার করিয়ে দেন।