একদিনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হলেও ওই সাংসদদের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ করা হতে পারে। একটি অংশের দাবি, বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষের অধিবেশন শেষে রাজ্যসভায় ঢোকার শেষ করেন তাঁরা। বাধা দেওয়া হলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তার জেরে জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে এবং নিরাপত্তাকর্মীরা আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। পেগাসাস ‘হ্যাক’ নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হয়েছেন তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদরা। বুধবারও সেই ধারায় ছেদ পড়েনি। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু তাঁদের আসনে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মানেননি তৃণমূল সাংসদরা। পরে সংসদের সেক্রেটারি জেনারেল দেশ দীপক বর্মা বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেন, ২৫৫ নম্বর ধারার আওতায় দোলা সেন, মহম্মদ নাদিমুল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, মৌসম নূর এবং অর্পিতা ঘোষকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। তা নিয়ে সরব হন ওই সাংসদরা। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগে তৃণমূলও। তারইমধ্যে একটি মহলের অভিযোগ, রাজ্যসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বুধবার সংসদে ঢোকার চেষ্টা করেন ওই ছ'জন সাংসদ। সেইসময় হাঙ্গামা হয় অভিযোগ। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে আসরে নেমেছে রাজ্যসভার সচিবালয়। পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ওই অংশের দাবি, পুরো বাদল অধিবেশনেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হতে পারে। যদিও তৃণমূলের পালটা বক্তব্য, শুধুমাত্র বুধবারের অধিবেশনের জন্য ওই ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফলে অধিবেশন শেষে তাঁরা তো রাজ্যসভায় ঢুকতেই পারেন। কেন তাঁদের আটকানো হবে?