গুজরাতের খেদা জেলায় প্রকাশ্যে এক মুসলিম যুবককে খুঁটির সঙ্গে আটকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ সামনে এসেছে। একটি ভিডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে ওই যুবককে যারা মারধর করছেন তারা হলেন পুলিশ কর্মী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এবার এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকারের ভূমিকা নি🃏য়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সকেত গোখলে।
নবরাত্রির অন⛎ুষ্ঠানে তাণ্ডব, পালটা মার, তদন্তের নির্দেশ গুজরাত পুলিশের
নিজের টুইটারে তিনি লেখেন, ‘এটা খুবই লজ্জাজনক যে গুজরাতে মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় এখনও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কোনও পদক্ষেপ করেনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তবে ঘটনায় কেউ যে অভিযোগ জানায়নি এই নিয়ে ত🎀াদের অজুহাতের আর কোনও জায়গা নেই। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।’
উল্লেখ্য, খেদা জেলায় গত ৩ অক্টোবর নবরাত্রির অনুষ্ঠানে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে সাদা পোশাকে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও♉ই মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একজন খুঁটির সঙ্গে আটকে রেখেছে ওই যুবককে এবং অন্যজন পিছন থেকে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করছে। আর রাস্তায় থাকা মানুষজন তার প্রতিবাদ না করে পুলিশকে মারধর করার জন্য আরও উৎসাহিত করছে। তারমধ্যে কয়েকজন এই মারধরের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। অনেকেই এই ঘটনাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ হিসাবেই দেখছেন। ইতিমধ্যেই গুজরাত পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।