মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে পর পর ২ টি চিতার মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ফরেস্ট্রি, ফিশারিজ, অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গল থেকেই আনা হয়েছিল কুনো জাতীয় উদ্যানে ওই চিতাদের। তারপর পর পর দুই চিতার মৃত্যু হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা বলছে, এই ধরনের প্রজেক্টে চিতার মৃত্যু ‘আশা করা🦩 হচ্ছিল’।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে এনে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে ভারতের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়। তাদের মধ্যে একটি নামিবিয়ার চিতা ও একটি দক্ষিণ আফ্রিকার চিতা মারা গিয়েছে কুনোতে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেস্ট্রি, ফিশারিজ, এনভায়রনমেন্ট দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ‘ এই দুই চিতার মৃত্যু আজ অবধি পর্যবেক্ষণ করা এই প্রকৃতির একটি প্রকল্পের জন্য প্রত্যাশিত মৃত্যুর হারের মধ্যে পড়ছে’। ভারতে চিতার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই দিকে নজর দিয়ে , বিদেশের মাটি থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয় আট চিতাকে। সুদূর নামিবিয়া থেকে চিতা নিয়ে এসে ভারতে চিতার সংখ্যাকে বৃদ্ধি করাই লক্ষ্য ছিল সরকারের। তবে তাতে উদ্বেগের পারদ চড়ায় পর পর চিতার ম🙈ৃত্যু। দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে জারি করা বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘বড় মাংসাশী প্রাণীর পুনঃপ্রবর্তন অত্যন্ত জটিল এবং সহজাতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন। এটি প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়।’
উল্লেখ্য, বিদেশের পরিবেশ থেকে আনা চিতাকে ভারতের পরিবেশে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছিল। কোয়ারেন্ট༒াইন পর্ব শেষ করে তাদের ধীরে ধীরে গভীর জঙ্গলের দিকে ছাড়া হচ্ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বন, মৎস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তর (DFFE) অপেক্ষা করে রযএছে কুনোতে দ্বিতীয় মৃত চিতার অটোপসি রিপোর্টের। যার থেকে সহজে জানা যাবে যে, কেন ওই চিতার মৃত্যু হয়েছিল। তবে তারা বলছে, ‘কোনও সংক্রামক রোগ বা তা থেকে কোনও চিতার মারা যাওয়ার সম্ভাবনা এমনটা কোথাও দেখা যাচ্ছে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকা বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকান 🍸চিতাদের একটি বড় এনক্লোজারের মধ্যে রেখে প্রতিদিন ২ বার করে পর্যবেক্ষণ করা হয়। জানানো হয়েছে, ‘তারা বন্য চিতা, তাদের গতিবিধি, স্বভাব, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি, একটি দূরের জায়গা থেকে দেখা হয়।’ যাতে চিতাদের সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা𓄧 হয়, তার জন্য এই গতিবিধি বুঝে তাদের ওপর লক্ষ্য রাখা হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকা বলছে, একবার চিতারা নিজেদের বাসস্থানের জায়গা দেখে নিলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে যাবে।
এই খবরটি আপনি💫 পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক