বুধবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে সম্পত্তির মালিককে ১৫ দিনের আগাম নোটিশ না দিয়ে এবং বিধিবꦉদ্ধ নির্দেশিকা অনুসরণ না করে কোনও ভাঙা যাব🤡ে না।
এরপরই সুপ্রিꦛম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, এর মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধকে বন্ধ করা যাবে। মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
এদিকে এর আগে এই বুলডোজার নীতির জন্য বার বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ইউপি সরকারকে। তবে এবার রাজ্য সরকারের মুখপাত্র এই রায়টি জামায়তে উলেমা হ❀িন্দ বনাম নর্থ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মধ্যে হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সুশাসনের একটা বড় দিক হল আইনের শাসন। সেদিক থেকে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত। এই সিদ্ধান্ত অপরাধীদের মধ্য়ে আইন ভাঙার ভয়ের সঞ্চার করব💦ে। এর মাধ্যমে মাফিয়া ও পেশাগত ক্রিমিনালদের ঠান্ডা করা সহজ হবে। এটা দিল্লির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর মধ্যে ইউপি সরকার পার্টি নয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রেজিস্টার্ড ডাকযোগে মালিককে নোটিস পাঠাতে হবে এবং কাঠামোর বাইরের অংশে লাগা𒁏তে হবে। নোটিশে অননুমোদিত নির্মাণের প্রকৃতি, নির্দিষ্ট লঙ্ঘনের বিবরণ এবং ধ্বংসের কারণ থাকতে হবে। ধ্বংসের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে, এবং নির্দেশিকা লঙ্ঘন করলে আদালত অবমাননার আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আইনের শাসন ও নির্বাহী বিভাগের স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নাগরিকদের অধিকার। আইনি প্রক্রিয়া এ ধরন🥀ের কাজকে প্রশ্রয় দিতে পারে না। আইনের শাসন স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ বলেছে, লঙ্ঘন অরাজকতাকে উ🦄ৎসাহিত করতে পারে এবং সাংবিধানিক গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নাগরিক অধিকার সুরক্ষা অপরিহার্য।
বেঞ্চ তার𒊎 আদেশে আরও বলেছে, বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব পালনে নির্বাহ🀅ী বিভাগ তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারে না।
নির্বাহী বিভাগ যদি বিচারকের ভূমিকা নেয় এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়, তবে তা আইনের শাসনের লঙ্ঘন। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে রাষ্ট্র অভিযুক্ত বা আসা🧸মির বিরু🦋দ্ধে স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থা নিতে পারে না।
শীর্ষ আদালত আরও বলেছে যে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই দেখাতে হবে🃏 যে ধ্বংসই একমাত্র অবলম্বন, এমনকি যেখানে কিছু দখলদারিত্ব রয♏়েছে।
নির্দেশিকা🔯 দিয়ে বেঞ্চ বলেছে, সমস্ত নোটিশ পুরসভার একটি নির্ধারিত পোর্টালে টাঙাতে হবে, এবং নোটসও রেজিস্টার্ড পﷺোস্টের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
আদালত যোগ করেছে যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সম্মতি পর্যবেক্ষণের জন্য জবাবℱদিহি করা হয়।
স্থাবর সম্পত্তি ভেঙে ফেলার জন্য কর্তৃপক্ষের বুলডোজার প্রথা সম্পর্কিত বিভিন্ন আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে। সম্প্রতি দায়ের করা একটি আবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বেআইনি ধ্বংসযজ্ঞের ক্রমবর্ধমান সংস্কৃতি রাষ্ট্র কর্তৃক আইনবহির্ভূত শাস্তিকে একটি নিয়মে পরিণত করেছে এবং সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক সম্প্রদাౠয়গুলি শাস্তির হাতিয়ার হিসাবে আইনবহির্ভূত ধ্বংসযজ্ঞকে ব্য🐼বহার করে ক্রমবর্ধমান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ এবং বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য একটি বেদনাদায়ক নজির তৈরি করছে।
১ অক্টোবর দীর্ঘ শুনানি শেষে শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ সংরক্ষিত রাখে। সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী নির🐬্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া কোনও সম্পত্তি ভাঙা না করার জন্য একটি অন্তর্বর্তী﷽ আদেশও বাড়িয়েছে। তবে সড়ক ও ফুটপাতের ধারে ধর্মীয় স্থাপনাসহ অননুমোদিত কোনো নির্মাণের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
সুপ্রিম কোর্ট এর আগে মন্তব্য ﷽করেছিল যে জনসাধারণের সুরক্ষা সর্বাগ্রে, এবং এ🌌টি মন্দির, দরগা বা গুরুদ্বার রাস্তার মাঝখানে যেতে হবে কারণ এটি জনসাধারণকে বাধা দিতে পারে না।
শুনানির সময় শীর্ষ আদালত মন্তব্য করেছিল যে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে এটি সর্বভারতীয় নির্দেশিকা জারি করবে, যা সমস্ত ধর্মের জন্য প্রযোজ্য। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কেবলমাত্র অভಞিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত হওয🍸়ার ভিত্তিতে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করা যায় না।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল যে তারা কেবল পৌর আইনের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্ট 𝐆এই বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে দুটি কাঠামো লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা এবং কেবল একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা, এবং পরে শীঘ্রই অপরাধমূলক পটভূমি খুঁজে পাওয়া যায়। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছিল যে বেআইনি নির্মাণের জন্য একটি আইন থাকতে হবে এবং এটি ধর্ম বা বিশ্বাস বা বিশ্বাসের উপর নির্ভ🍌রশীল নয়।
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, নগর পঞ্চায়েতের জন্য আলাদা আইন থাকবে ব⭕লে মন্তব্য করে আদালত সচেতনতার জন্য একটি অনলাইন পোর্টালের পরামর্শ দিয়েছিল।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ 🥂আদালত নির্দেশ দেয়, ১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশজুড়ে কোনও সম্পত্তি ভাঙা যাবে না। তবে আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই আদেশটি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে জনসা꧑ধারণের রাস্তা এবং ফুটপাতে কোনও বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।